ফুটবলকে উনি গীতাপাঠের বিকল্প বলেননি, তবে তো রামকৃষ্ণ মিশন না বানিয়ে রামকৃষ্ণ ফুটবল টিম বানাতেন। উফ!! কি নিয়ে খবর পড়তে হচ্ছে। আরে ভাই পড়াশোনা কি সব ছেড়ে বসে আছেন আপনারা! উনি বলেছিলেন ফুটবল খেলে শরীরটা সবল হলে গীতাটা আরো ভালো বুঝবে। ফুটবল খেলাকে গীতাবোধের উপায় বলতে চেয়েছিলেন। আর কোন বিষয়ে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেছিলেন? না, ভারতীয়রা কিভাবে বেদান্তকে নিজের জীবনে প্রয়োগ করবে সেই বিষয়ে বলছিলেন। অর্থাৎ গীতাকে কিভাবে অ্যাপ্লাই করা হবে সেই নিয়ে বলতে গিয়ে বলেছিলেন মাদ্রাজে। এই নিন গোটা কথাটা....হল্লা না করে, জনগণকে বিভ্রান্ত না করে গোটা উক্তিটা পড়ুন দিকিনি....
"দুর্বল মস্তিস্ক কিছু করিতে পারে না; আমাদিগকে সবলমস্তিষ্ক হইতে হইবে—আমাদের যুবকগণকে প্রথমতঃ সবল হইতে হইবে, ধর্ম পরে আসিবে। হে আমার যুবক বন্ধুগণ, তোমরা সবল হও—তোমাদের নিকট ইহাই আমার বক্তব্য। গীতাপাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলিলে তোমরা স্বর্গের আরও নিকটবর্তী হইবে। আমাকে অতি সাহসপূর্বক এই কথাগুলি বলিতে হইতেছে; কিন্তু না বলিলেই নয়। আমি তোমাদিগকে ভালবাসি। আমি জানি, সমস্যা কি—কাঁটা কোথায় বিঁধিতেছে। আমার কিছু অভিজ্ঞতা আছে। তোমাদের বলি, তোমাদের শরীর একটু শক্ত হইলে তোমরা গীতা আরও ভাল বুঝিবে। তোমাদের রক্ত একটু তাজা হইলে তোমরা শ্রীকৃষ্ণের মহতী প্রতিভা ও মহান্ বীর্য ভাল করিয়া বুঝিতে পারিবে। যখন তোমাদের শরীর তোমাদের পায়ের উপর দৃঢ়ভাবে দণ্ডায়মান হইবে, যখন তোমরা নিজেদের মানুষ বলিয়া অনুভব করিবে, তখনই তোমরা উপনিষদ্ ও আত্মার মহিমা ভাল করিয়া বুঝিবে।" (ভারতীয় জীবনে বেদান্তের কার্যকারিতা। মাদ্রাজে তৃতীয় বক্তৃতা।)