একই মাটির রস নিয়ে নিমগাছও হচ্ছে আবার আমগাছও হচ্ছে। দুইয়ের গুণ কি এক? এ হল বিচারের কথা। ভেবে দেখার কথা। ডুবে দেখার কথা।
আবার ধরো, রাস্তার ধারে একটা বাঁশি পড়ে আছে। যে বাঁশি মানে কী জানে না, সে কী ভাববে? কেউ ভাববে একটা লাঠিতে অমন ছেঁদা করল কে? কেউ ভাববে একি চাষের জিনিস? নাকি রান্নার? এদিয়ে কী হয়? যে যার নিজের মনের জ্ঞান অনুযায়ী তো ভাববে। যে বাঁশি কী জিনিস জানে, সে-ই তাকে রাস্তা থেকে তুলে নেবে আর বাজাতে বাজাতে যাবে। এ হল মাধুর্যের কথা। এও ডুবে গিয়ে ভাবের ধারায় স্নানের কথা।
যা জানছি তার যেমন সীমা নাই, যার মাধ্যমে জানছি তারও কোনো সীমা নেই। দুই দিকেই বিস্ময়। যা জানছি সে জেনে জেনেও যেমন বিস্ময়, যার মাধ্যমে জানছি তার দিকে চেয়ে চেয়েও বিস্ময়। যে বলে "জেনেছি"..সে গুলিয়ে ফেলে.... যে বলে "জানছি".... সে-ই এগিয়ে চলে।
অভাবটা তবে কী?
অভাব কী একধারার? যার মনে যার অভাব তার দৌড় তার দিকেই। সংসারে তাই এত বিচিত্রধারার মানুষ। ভাবের অভাব, কী বস্তুর অভাব….অভাব তো আছেই……
এ সব মিলিয়ে যা হচ্ছে….তার মানে কী তবে?
মানে?!.... কে করবে মানে? মানে করা আর মান করা, দুই-ই এ পথে বাধা গোঁসাই। নোঙর তোলো... ”শেষ নাহি যে শেষ কথা কে বলবে?”.......