আজ একটা গল্প মনে পড়ছে। আমি কলেজে শুনেছিলাম।
একটা প্লেন ক্র্যাশ হয়েছে। প্রাইভেট প্লেন। দেশের কোনো এক মন্ত্রীর প্লেন ছিল। যদিও কেউ মারা যায়নি, কিন্তু সবাই কোমায়। সুস্থ বলতে একমাত্র একটা শিম্পাঞ্জি, সেও ওই প্লেনেই ছিল।
তদন্ত শুরু হল। কিন্তু সাক্ষ্য দেবে কে? সবাই তো কোমায়। শিম্পাঞ্জিকে ডাকা হল। সে মন্ত্রীর প্রিয়, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ভাষা বোঝে শুধু না, ইশারায় কথাও বলতে পারে।
এবারে তদন্তে আসি।
প্রশ্ন - প্লেন ওড়ার আধঘন্টা পর কি হচ্ছিল? মাননীয় মন্ত্রী কি করছিলেন?
শিম্পাঞ্জি দেখালো, পেপার পড়ছিলেন।
প্রশ্ন - ওনার সেক্রেটারি কি করছিলেন?
শিম্পাঞ্জি হাত দিয়ে দেখালো, ঠোঁটে লিপস্টিক লাগাচ্ছিলেন।
প্রশ্ন - ওনার আরেক সহকারী?
শিম্পাঞ্জি দেখালো, উনি ঘুমাচ্ছিলেন।
প্রশ্ন - পাইলট কি করছিলেন?
শিম্পাঞ্জি দেখালো, প্লেন চালাচ্ছিলেন।
প্রশ্ন - তুমি কি করছিলে?
শিম্পাঞ্জি দেখালো, সে কলা খাচ্ছিল।
প্রশ্ন- এবার ক্র্যাশ হওয়ার আগের মুহূর্তের বর্ণনায় এসো। মাননীয় মন্ত্রী কি করছিলেন?
শিম্পাঞ্জি দেখালো, কাউকে কোলে নিয়ে চুমু খাচ্ছিলেন।
প্রশ্ন - ওনার সেক্রেটারি কি করছিলেন?
শিম্পাঞ্জি দেখালো, কারোর কোলে বসে চুমু নিচ্ছিলেন।
প্রশ্ন - আরেকজন কি করছিলেন?
শিম্পাঞ্জি দেখালো উনি ঘুমাচ্ছিলেন।
প্রশ্ন - পাইলট কি করছিলেন?
শিম্পাঞ্জি দেখালো উনি মাথা ঘুরিয়ে বিস্ফারিত নেত্রে পিছনের দিকে ঘুরে ছিলেন।
প্রশ্ন - তুমি কি করছিলে?
শিম্পাঞ্জি দেখালো, সে প্লেন চালাচ্ছিল।
গল্প শেষ। আসলে তাই হয়, যেখানে যার কাজ সে সেখানে অবহেলা করে অন্যত্র ঘুরে বেড়ালে কে আর আসল কাজটা করবে? এরকম করলে ভরাডুবি হবে না?