পাখিটা গঙ্গার উপর দিয়ে উড়তে উড়তে মেঘ ডিঙিয়ে আকাশে পৌঁছালো। মাটিতে তখন মোটা মোটা জলের বিন্দু। আগুন নিভে গেছে কখন।
=======
ডালে এসে বসল যখন বৃষ্টি থেমে গেছে। গাছের সবুজ ভিজে পাতা বলল, কি দেখলে?
পাখি বলল, নীল নীল আকাশ। শুধু নীল আর নীল।
সবুজ পাতা বলল, তারপর?
পাখি বলল, শুধুই তো নীল… আর কিছু নেই।
======
আবার কয়েকজন এলো। উচ্চৈঃস্বরে সংকীর্তন শুরু হল। চিতার আগুন উঠল দাউ দাউ করে জ্বলে। চাপা কান্নার আওয়াজ এলো, ভেসে গেল দশদিকে, বাতাসে।
সবুজ পাতা বলল, কি ভালো পাখি? মাটি না আকাশ?
পাখি বলল, কোনোটারই শেষ নেই। পাইনি আমি। শিকড়কে জিজ্ঞাসা করো, সেও পায়নি মাটির তল। আমি পাইনি আকাশের।
বাতাসে ভেসে এলো ছাইয়ের কণা। উড়তে উড়তে লাগল সবুজ পাতায়। পাখির পাখায়।
ছাই বলল, গোটা জীবনে আমিও পেলাম না হৃদয়ের তল, না সুখের, না দু:খের। এক এক সময় মনে হয় দুটোই বোধহয় এক। আমি খুঁজতে গিয়ে হারাই শুধু।
পাখি বলল, আমারও তাই মনে হয়, যা-ই আকাশ, তা-ই মাটি। তল নেই।
=======
আগুন তখন নিভু, নিভু। জোয়ারের জল পাড়ে লাগছে, ছলাৎ ছলাৎ। সে শব্দ মিশে যাচ্ছে বাতাসে। হারিয়ে যাচ্ছে। যে বাতাসে খানিক আগে মিশেছে কান্না।
শিকড় বলল, মাটিও মিশিয়ে নেয় সব।
ছাই বলল, সব একই, একই, একই। তল নেই।