নিস্তব্ধ রাত
পাহাড়ের কোলে একটা নদী
আদর খেতে খেতে
খেলতে খেলতে
হাত পা ছুঁড়তে ছুঁড়তে দৌড়াচ্ছে
পাহাড়ের কোলে ছোটো হোটেলরুম
কাঁচ দেওয়া জানলার পাশে বসে আমি
গায়ে কম্বল জড়ানো
আকাশের তারাগুলো যেন পাহাড়ি তারা, অন্যরকম,
শহুরে তারারা এত সরল হয় না তো!
মিশমিশে অন্ধকারে
এক কাপ গরম কফির তৃষ্ণা ভাঙতে ভাঙতে
মনে হল যদি নেমে যাই এখনই
পাহাড়ের ঢাল বেয়ে
নদীটার পাশে গিয়ে দাঁড়াই
নদীটা যদি একটা বাচ্চা মেয়ের মত
আমার পাশে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করে
খেলবে?
আমি বলব, এত রাতে?
সে যদি বলে
হ্যাঁ, লুকোচুরি
আমি বলব,
বেশ
আমি পাহাড়ের ঢালে
পাথরের আড়ালে
পাইনের জঙ্গলে
লুকিয়ে গুনব
এক দুই তিন...
কানে শুনব, জলের পায়ের শব্দ
সে আসছে
এখনই ধরা পড়ে যাব
জানি
তবু নড়ব না
সে আসলেই তাকে ধুম করে
কোলে তুলে নিয়ে
প্রচুর চুমু খেয়ে বলব
এবার তোর পালা, লুকা!
সে লুকাবে
আমি তাকে সমস্ত নদী সমুদ্র খুঁজে বেড়াতে বেড়াতে
হঠাৎ পেয়ে যাব
আমার সমতলের উপর পাশের বাড়িতে
কিম্বা চায়ের কাপ ধুতে
দোকান ঘরের নোংরা কলতলায়
অথবা মায়ের সাথে কাজ করতে আসা
দুটো ঝুঁটি বাঁধা মাথায়
ভীতু চোখে বসা দরজার কোনায়
কিম্বা স্কুলের ঘন্টা বাজিয়ে
স্যার দিদিমণিদের জন্য চায়ের জল চাপানো হাতের চুড়ির আওয়াজে
সেও চিনে ফেলবে আমায়
চোখের কোনায় দুষ্টু হাসি হেসে
ইশারায় বলবে
কাউকে বোলো না যেন
আমায় তুমি চিনতে পেরে গেছ
আবার দেখা হবে আমাদের পাহাড়ি অন্ধকারে
পাহাড়ি তারাদের তলায়
এখন যাও