এখনও দক্ষিণেশ্বর মন্দিরপ্রাঙ্গণে সে ঘরটা,
সে খাটটা আছে
যেখানে শ্রীরামকৃষ্ণ বসতেন
সেই মেঝেটা আছে
যেখানে তিনি নরম পা দুটো রাখতেন
সে জুতোটাও আছে
যে জুতোটা অমন দেবতুল্য শরীরটা বহন করত
এখনও কথামৃত ছাপা হয়
এখনও দোকানে, বাড়িতে, বাসে, অটোতে
শ্রীরামকৃষ্ণের ছবিটা দেখা যায়
এখনও অমন দেবতুল্য মুখটা
বিপদে, সংশয়ে, জাগরণে, ঘুমে
হৃদয়ে উদ্ভাসিত হয়
বারবার শুনি
দেবতুল্য কণ্ঠে সে বাণী
ঈশ্বর, আল্লাহ, গড,
নামের পার্থক্য রে
একজনকেই ডাকছে সবাই
দুই বলে কিছু নেই
বিশ্বাস করেছি
কারণ শ্রীরামকৃষ্ণকে বিশ্বাস করেছি
নিজের থেকে বেশি,
নিজের সব দুর্বুদ্ধি, স্বার্থবুদ্ধি থেকে বেশি
অসহায় কান্নায় বারবার বলতে বাধ্য হয়েছি
আমাকে বাঁচাও
আমার দৈন্য থেকে, ক্ষুদ্রবুদ্ধি থেকে
সত্যের শরীর হয় না
প্রেমের শরীর হয় না
আত্মা হয়
লাথিটা লেগেছে
ভীষণ জোরে লেগেছে
আমার বুকে না
আমার ঠাকুরের বুকে
একের বুকে
দুই নেই যে!