Skip to main content
 
প্রতিদিন, দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে
   সিংহাসনের গদি, চাদর বদলাতে বদলাতে
      ধাতুমূর্তি ঈশ্বরের পোশাক কাচতে কাচতে
         বাসি ফুল ফেলতে ফেলতে
            কত সহস্র সলতে পুড়িয়ে ফেলার পর
 
   যখন বুঝতে পারলেন - ঈশ্বর নেই
      কিম্বা ঈশ্বর আকাশের মত
              সম্পর্কহীন অস্তিত্ব
 
তখন শূন্য থেকে শুরু করার শক্তি কোথায়?
 
সেদিন থেকে ঈশ্বর আর শূন্যকে এক আসনে রেখে
    বিষাদময় নিশ্চিন্ততায় নিজেকে বললেন
          "তোর ছুটি, যা পালা!
               তবে অন্দরমহলের বাইরে না!"
 
পাশের ঘরে জোয়ান স্বাস্থ্যবান ছেলে
   একটা পাশবালিশে পা তুলে শুয়ে
       হাত বাঁধা
নিজের চোখে নিজে কাঁচি ঢুকিয়ে দিতে চেয়েছিল একদিন
   ভাগ্যে কাজের মেয়েটার চোখে পড়েছিল
 
সমস্ত রাজনৈতিক বিশ্বাস নাকি ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে তার
  শূন্য নারকেলের মালার মত চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
  সব মঙ্গল, আশা, মানবদরদী বিশ্বাসেরা
     সারাদিন শূন্য দৃষ্টিতে, দেওয়াল জুড়ে শূন্য আঁকে সে
  হাত দুটো খোলা পেলেই
 
মা আর ছেলে
    দুজনে দুটো শূন্যকে ভাড়া দিয়েছে
        না শূন্যের ভাড়ায় দুজনে?
 
ভাবতে ভাবতে মা
   ছাদে কাপড় শুকাতে যায়
       শুকনো কাপড়ে কাকের গু লেগে থাকে কখনও বা,
     ঝড়েও তো উড়ে গেল কতবার
        নিজের শাড়ি, বাবুর পায়জামা
 
শুধু মানুষ উড়ে যেতে পারে না
       কোনো ছাদ ফাঁকা নেই
 
একটা বড় শূন্য শুধু
   সূর্যের মত
      চাঁদের মত
         পৃথিবীর মত
            ব্রহ্মাণ্ডের মত

Category