Skip to main content

ছাদের এক কোণে পড়ে থাকত একটা ভাঙা আধলা ইঁট। কারোরই চোখে পড়ে না।

একদিন আকাশ ছেয়ে এলো মেঘ। বৃষ্টি নামল ছাদ জুড়ে। ইঁটের উপরও পড়ল। ইঁট শুধু ভিজল না। সিঞ্চিত হল। তার রন্ধ্রে রন্ধ্রে এমন তৃষ্ণা!

দু’দিন গেল। আশ্চর্য হল ইঁট। তার একদিকের একটা ভাঙা খাঁজের মধ্যে জন্মেছে একটা চারা। সবুজ পাতা রোদের মধ্যে মাথা তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি। সজল বাতাসের সঙ্গে খেলছে।

আর তার শিকড়গুলো!

নরম নরম আঙুলে ইঁটের সমস্ত বুকটা জড়িয়ে আছে। তার নরম শিকড় যেন বাতাসে আর জলে বোনা! এত নরম! যেন অদৃশ্য ভালোবাসা দৃশ্যমান হয়েছে শুধু তাকে দেখা দেবে বলে।

গাছটার ভবিষ্যৎ কি?

ইঁট জানে না। ভাবেও না। এত বড় আকাশের নীচে তারা দুজন এই যে আছে, এইটাই সবটুকু সত্যি।

মল্লিকবাড়ির ছোটো মেয়েটা, যে একাই থাকে ভাড়া ফ্ল্যাটে, সে যখন স্কুলে দিতে যায় বাচ্চাটাকে, অনেকের সপ্রশ্ন চোখ এড়িয়ে, সেও এটাই ভাবে, এইটুকুই সবটুকু সত্যি।