রাস্তাটার মাঝ বরাবর চিড় ধরল। সবাই ভাবল দুটো পথ হবে বুঝি এবার। ফাটল ধরে ধরে এগোতে লাগল সবাই। কোথায় গেছে তবে দুটো রাস্তা দুদিকে? হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হল, সন্ধ্যা হল। তবু ফাটলের শেষ মিলল না। সবাই ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়ল খোলা আকাশের নীচে। কেউ শুলো ফাটলের বাঁদিকে, কেউ শুলো ডানদিকে।
মাঝরাতে কেউ একজন জল আনতে যেই ফাটল টপকে ওদিকে গেছে, ওদিকের একজন গর্জে উঠে বলল, এদিকে কেন? তোমাদের ওদিকে জল নেই বুঝি? ওদিকের সবাই সমস্বরে বলে উঠল, হ্যাঁ হ্যাঁ, জল নেই বুঝি?
লোকটা হতভম্ব হয়ে ফিরে এলো। এদিকের লোকেরা বলল, আসুক ওদিক থেকে কেউ এদিকে। বুঝিয়ে দেব কত ধানে কত চাল...হুঁ!
লোকগুলোর আর ফাটলের শেষ খোঁজা হল না। নিজেরা দুপক্ষ হয়ে ফিরে এলো। তারপর থেকে একপক্ষ ডানকাতে শোয়, আরেকপক্ষ বামকাতে। একপক্ষ অমাবস্যা মানে, আরেকপক্ষ পূর্ণিমা। প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি মারামারি হয়।
ওদিকে ওরা আর কয়েক পা হাঁটলেই দেখতে পেত ফাটলের মুখ গিয়েছে জুড়ে একটা ঝর্ণার মধ্যে মিশে। তার জলের ধোঁয়ায় হয়েছে রামধনু নানা রঙে মিশে।