Skip to main content

বারবার একটা কথা চোখে পড়ছে, ধর্ষণ আর যৌন চাহিদা। একটু আগে মার্কেণ্ডেয় কাটজু লিখলেন ধর্ষণের সাথে বেকারত্বর যোগাযোগ। ওনার যুক্তিতে মানুষ চাকরি না পেয়ে বিয়ে করতে না পেরে নাকি ধর্ষক হচ্ছে। আমি জানি না এরকম কোনো স্ট্যাস্টেস্টিক্স কোথাও আছে কিনা যে সমস্ত ধর্ষকেরাই আসলে বেকার। আমার মনে হয় নেই। নির্ভয়ার ধর্ষকেরা কেউ বেকার ছিল না।

      কথাটা একটা সুপেরিওরিটি কমপ্লেক্স। সেটা জাতের কারণেই হোক, কি পুরুষত্বের কারণেই হোক। কথাটা উদ্ধত লিঙ্গের দাপট দেখিয়ে দেওয়া। কাদের মাথাটা নীচু রাখতে হয় তাদের শিখিয়ে দেওয়া। সেখানে পুরুষাঙ্গ কোনো যোনির জন্য ক্ষুধার্ত না, কারোর অস্তিত্বকে মিটিয়ে ফেলার জন্য হিংস্র। কাউকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য উদ্যত। কাউকে মাটির সাথে মুখ গুঁজে বাঁচতে বাধ্য করার অস্ত্র। এগুলো কোনোটার সাথে যৌনতা বা বেরোজগারের সম্পর্ক আছে বলে অন্তত আমার মনে হয় না। তার সাথে অবশ্যই একটা সমাজের ও পরিবারের শিক্ষা তো থাকেই। কিভাবে মেয়েদের দেখতে শেখানো হয়। বাড়ির বড় পুরুষেরা বাড়ির মেয়েদের সঙ্গে কিভাবে আচরণ করে সেটাও দেখতে হয়। হাজার স্কুলে পড়ানো হোক, আসল শিক্ষা একজন মানুষ তার পরিবারের থেকেই পায়, যা তার আচরণকে তার অজান্তেই প্রভাবিত করে।

      বাকি কয়েকটা ঘটনা সাইকোপ্যাথ দ্বারা অবশ্যই ঘটে থাকে। কিন্তু সে প্রসঙ্গ আলাদা। সেখানে হয় তো চিকিৎসার অবকাশ থাকে। কিন্তু মানসিক সঙ্কীর্ণতা, কুশিক্ষা ইত্যাদির থেকে যে জটিলতা সৃষ্টি হয় তার কি ব্যবস্থা হবে?