কিছু কিছু অন্ধকার দীর্ঘস্থায়ী হয়। যেন চেকমেট জানিয়ে নিষ্ঠুর হাসি হেসে দাঁড়িয়ে আছে সময়। দর্শকের আসনে নিঃশব্দে বসে মহাকাল অযুত-নিযুত নক্ষত্ররাজি নিয়ে, অপলক তাকিয়ে।
উঠে যাবে? হেরে যাবে?
যেতেই পারো। খুব নতুন কিছু নয়। বড় কথা নয়। তবু অতীতে তাকিয়ে দেখো কাঙ্ক্ষিত সময় আসেনি কোনোদিন, কারোর। উপযুক্ত মুহূর্ত থেকে গেছে অধরা। অলীক। তবু অসময়কে সময় বলে রাস্তায় নেমেছে মানুষ। নামতেই হয়েছে।
নিঃশব্দ চারদিক। হৃৎপিণ্ডের ধ্বনি আর শ্বাসপ্রশ্বাসের পাদচারণ তোমার চেতনা জুড়ে, রাতজাগা কুকুরের মত। আর কেউ নেই। প্রেম, ঈশ্বর, বিশ্বাস শূন্য মনন। ধ্রুবতারা খুঁজছ পাগলের মত একা। কই ধ্রুবতারা?
হয় তো হেরে যাবে। তবু আসন ছেড়ো না। বারবার ডাক পড়বে খেলায়। যতদিন না হও নির্মোহ দাবার ছকের মত; হও উদাসীন। যতদিন না প্রতিপক্ষ আর নিজেতে ভেদ ঘুচে যায় চিরদিনের মত। উপলব্ধি করো, আসলে কেউ ছিল না কোনোদিন, না তুমি, না আমি, না প্রতিপক্ষ। দাবার ছকে আনমনে গুটি সাজিয়ে চলেছে যে নির্মম, যে রহস্যময়, সে কে? সে না আমি, না তুমি, না প্রতিপক্ষ কেউ।