দেবী ফিরিলেন। অসুর ফিরিল কিনা বলিতে পারি না। শাস্ত্রে আছে রাবণ মায়াসীতাকে আসল সীতা ভাবিয়া হরণ করিয়াছিলেন। সে ভ্রম পরে ঘুচিয়াছিল কিনা শাস্ত্রে লেখে নাই। কিন্তু বোধহয় তিনি সীতার নিকট হইতে মায়ারাবণ বানাইবার কৌশলটি রপ্ত করিয়াছিলেন, নইলে ফি বৎসর যে পরিমাণ রাবণ নিধন হইয়া থাকে সেই পরিমাণ বাস্তব জগত রাবণমুক্ত হয় না কেন?
এ সব প্রশ্নের মীমাংসা করা দুষ্কর। কারণ দেবী যে সকল ভক্তের বংশ-নিবাস আলো করিয়া ফুটেজ খাইলেন সপরিবারে, তাহাতে উহার সমদৃষ্টতাকে প্রশংসা করিতেই হয়, এক্কেরে সাধু-তস্করের বিভেদ ভুলিয়াছেন। অবিশ্যি গঞ্জিকার প্যাসিভ স্মোকিং এড়াইয়া চারখানা ছেলেমেয়ে মানুষ করা থুড়ি, দেবদেবী করা চাট্টিখানি কতা রে বাপু!
সে যাই হোক, "শুভ বিজয়া" না লিখিলে নিন্দুকে অসামাজিক বলিবে তাই বলিয়া রাখিলাম। তবে আপনাদের প্রতি স্নেহ-ভালোবাসা আমার অকৃত্রিম, তাহা জানাইবার জন্য বিশেষ দিনের অপেক্ষা রাখি না, তবু এই পটকা-বাজি-মাইক-রোশনাই শোভিত বেয়াড়া খচ্চার গড্ডালিকা প্রবাহের স্রোতটিকে বিদায় জানাইতে জানাইতে, দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া বলিলাম, ভালো থাকিবার প্রয়াস পাইবেন। ভালোবাসাতেই ভালো থাকা যায়, কিন্তু তাহার কোনো বিগ-ডিল দিবস নাই, উদয়াস্ত সে সমীরণ বহিতেছে, চাহিলেই হয়। জয়গুরু।
সৌরভ ভট্টাচার্য
8 October 2019