সৌরভ ভট্টাচার্য
1 May 2022
নীচ জাত। স্পর্ধা করে উঠেছিল মন্দির প্রাঙ্গণে। দিল তাকে মন্দির থেকে ফেলে। পদাঘাতে।
মন্দিরে তখন বাজছে কাঁসরঘণ্টা। সন্ধ্যারতির সময়। উল্লাসে ভক্তেরা সব মেতে।
সে পড়ল রাজপথে। ধুলোমাখা সারা গা। তবু কি জানি দেখে, উঠল হেসে।
পুরোহিত বলল, পাগল? পদাঘাত খেয়ে হাসো, লাজলজ্জা সব খেয়েছ অবশেষে?
সে বলে, রাস্তায় এসে দেখোই না ঠাকুর, কি এক কাণ্ড ঘটে রয়েছে, নীচু উঁচু সব গিয়েছে মিলেমিশে।
এলো পুরোহিত। সে দেখালো নর্দমার জল। পুরোহিত বলে, বাচালতা রাখো, আবর্জনাই দেখো তুমি বসে বসে।
সে বলল, আবর্জনাই দেখলে ঠাকুর? দেখো, নর্দমার জলে কি মায়াতে চাঁদের ছায়া আছে ভেসে...নীচু কি নোংরা চাঁদ পরোয়া করে না...তোমার ঠাকুরই করে, কি করে যে তাকে ছোঁয়াছুঁয়ির বাতিকে ধরল এসে...
নিরুত্তর পুরোহিত, ফিরে গেল দেবালয়ে। ফিরে গিয়ে দেখে, সন্ধ্যারতি শেষ। প্রদীপ নেভানো। এক চাঁদের আলোয় দেবতা যাচ্ছে ভেসে।