আন্দামানে সে গিয়েছিল যীশুর বাণী প্রচার করতে। বোকামি? ধর্মান্ধতা? ভক্তি? বিশ্বাস?
জানি না।
আর আন্দামানে প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষ, মানে পর্যটক আরকি, বাসে চেপে, প্রাইভেট গাড়িতে চেপে লাইন দিয়ে 'মানুষ পর্যবেক্ষণে - হিউম্যান সাফারিতে যাচ্ছে। ছবি তুলছে, ভিডিও করছে, চকোলেট দিচ্ছে, তাদের আরো নানাভাবে প্রলোভিত করছে, তারা? অপরাধী নয়? জারোয়া দেখতে হবে যে!
"দাদা ক’টা জারোয়া দেখলেন?"
আমি তিনটে। একজন মা, বাচ্চা আর বাবা।
আমি দুটো, কি কিউট না? এক্কেবারে অন্যরকম না? ইস, কি সুন্দর।
ঠিক যেমন প্রশ্ন হয় জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হাতি-বাঘ-ভাল্লুক নিয়ে, তেমনই। পার্থক্যটা হল, এরা ভুলে যায় ওরাও মানুষ। আমার বাড়ির পর্দা সরিয়ে, ঘরে ঢুকে রোজ আমাদের দেখলে যেমন আমার অসহ্য লাগবে.... অবশ্য ওদের ইমিউনিটি, ওদের কালচার ইত্যাদির বিপন্নতা নিয়ে ওরাও ধন্দে এখন, কেমন যেন ওরাও মিশতে চাইছে, আমাদের সভ্যতার সংক্রমণ লেগেছে যে!
আচ্ছা জারোয়া থাক। আমাদের সভ্য সমাজে ছক্কা দেখি না আমরা? হিজড়া? ওরাও অন্যরকম। আমাদের দেখতে ভালো লাগে, কৌতুহল হয়। কৌতুহলের পর ঘেন্না লাগুক কি উদাসীনতা জাগুক, সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল, আমাদের কৌতুহল। মানবিক না। জিজ্ঞাসু না। 'অন্য' দেখার কৌতুহল, যা অমানুষী দেখার, অস্বাভাবিক দেখার কৌতুহল, মানহীন কৌতুহল।