সৌরভ ভট্টাচার্য
29 June 2020
গামছায় হাত মুছে, চায়ের কাপটা ডিস থেকে তুলে চুমুক দিতে দিতে বলল, সবাই চুতিয়া।
সিঙ্গাড়ায় পুর পুরতে পুরতে একবার মালিকের দিকে তাকিয়ে কর্মচারী বলল, তা আর বলতে। মনে মনে নিজের 'চুতিয়া' উপাধি পাওয়ার যোগ্য কাজগুলো ভেবে একটু হাসল।
ঠিক তক্ষুণি একটা টিকটিকি ছাদের থেকে টপাক করে সিঙ্গাড়া ভাজা গরম তেলের উপর পড়ল। মুহূর্তেই ঝাঁঝরা। এদিকে ফুটন্ত সিঙ্গাড়াগুলো লাল হয়ে এসেছে। হাতের ঝাঁঝরিটা দিয়ে টিকটিকিটাকে তুলবে কিনা ভাবছে দ্বিতীয় কর্মচারী।
মালিক গামছাটা দিয়ে কপালের ঘাম মুছে, হাতে ধরা চায়ের কাপটা ডিসের উপর নিঃশব্দে রেখে বলল, হাঁ করে তাকিয়ে না থেকে তুলে ফেল....
তারপর বাকি চা'টায় একটা বড় চুমুক দিয়ে বলল, আজ শনিবার হলে মায়ের দিব্যি, সব ক'টা সিঙ্গাড়া ফেলে, তেল ফেলে, নতুন করে ভাজাতাম। কিন্তু মা অত নির্দয় না রে, দেখ, আজ বৃহস্পতিবার, লক্ষ্মীবার, কিছু নষ্ট করা অলক্ষণ। তাই আজই....
দেওয়ালের থেকে আরেকটা টিকটিকি টক টক করে ডেকে উঠল..... মালিক বলল, চুতিয়া শালা....
প্রথম কর্মচারী মালিকের দিকে তাকিয়ে বলল, আর না তো কি!