Skip to main content
আমার অথবা আমার নয়, সমস্ত মাধ্যমিক আর উচ্চ-মাধ্যমিক ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাণভরা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, এ বছরেও অন্তত আমার সাবজেক্টে(বায়োলজি) আমার ছাত্র-ছাত্রীরা হতাশ করেনি আমায়। একটু উনিশবিশ তো হতেই পারে। সক্কলকে আমার অনেক অনেক ধন্যবাদ এত পরিশ্রমের জন্য। আর কৃতজ্ঞতা জানাই আমায় শিক্ষক হিসাবে গ্রহণের জন্য। 
কয়েকটা কথা শুধু। আরো দীর্ঘ রাস্তা চলার আছে। অনেক অনেক কঠিন পরীক্ষা আরো দেওয়ার আছে। বড় যত হবি তত জানতে পারবি, জীবনের সব বড় বড় পরীক্ষাগুলোই সিলেবাসের বাইরে। কোনো সাজেশান নেই, অনুমান করাও কঠিন কিসের মুখোমুখি হতে চলেছি। একটাই কথা মাথায় রাখিস, একটা কাগজে লেখা কয়েকটা সংখ্যার মানের চেয়ে জীবনের মান অনেক বড়। অনেক অনেক বড়, অনেক গভীর। বাহ্যিক জগতে যাকে সফল হওয়া বলে তা হতে পারবি কি না পারবি তা অনেক শর্তের উপর নির্ভর করে। কিন্তু তুই মানুষ হবি কি না হবি সেটুকু শুধুই তোর উপর নির্ভর করে। আর যা হোস না হোস, মানুষ হোস। ভালোবাসতে ভুলিস না, মিথ্যা থেকে যতটা পারিস দূরে থাকিস, আর নিষ্ঠুর কক্ষনো হোস না। না নিজের উপর, না তো অন্যের উপর। 
ব্যস, আর কি চাই, বহু বছর পর তোদের সাথে চলতে গিয়ে হঠাৎ দেখা হয়ে গেলে যেন তোদের আমার হৃদয়ের অংশ বলেই বোধ হয়। সেই পরম সার্থকতা আমার। সবার আপনজন হোস, ভরসার স্থল হোস। ভয় কদাপি না, কিছুতেই না।
আমি লিখি যদিও। তবু আমি আমার প্রথম পরিচয় শিক্ষক হিসাবেই ভালোবাসি। কারণ ওতে শেখা আর শেখানো যুগপৎ চলে। আমি ধন্য হই। তোদের অনেক অনেক আদর, শুভেচ্ছা, ভালোবাসা জানাই। ইতি, তোদের বানানো, দাদা।