Skip to main content

 

তখন সন্ধ্যে নেমেছে। কাজে যাচ্ছি। রাস্তার দুধারে বাড়ি বাড়ি আলোকসজ্জা। প্রদীপ জ্বলছে চৌকাঠে চৌকাঠে। কী আনন্দে ভরে উঠল মন। ঈশ্বরের উৎসব। আনন্দের উৎসব।

কাজ শেষ হল। শ্রান্ত দেহ। রাত অনেক হল। চারদিক এত অন্ধকার কেন? রোজ তো লাগে না। মনে পড়ল বাড়িতে বাড়িতে, দেবালয়ে দেবালয়ে যে প্রদীপগুলো জ্বলছিল, তারা নিভে গেছে। কী অন্ধকার! বিষণ্ণতা অবসাদে ঘিরে ধরল শ্রান্ত শরীর। কী অনীশ্বর জগত!

চলতে চলতে হঠাৎ খেয়াল হল এত অন্ধকারেও একটা ক্ষীণ ছায়া চলেছে আমার সঙ্গে। এ তো আমারই ছায়া! দাঁড়ালাম। চারদিকে তাকালাম। তারার আলোয় দাঁড়িয়ে আছে সব যে যার জায়গায়। আমিও। এত আলোর উজ্জ্বলতায় এই আলোটাই পড়েছিল ঢাকা। সামনে এই যে আমার রাস্তা, সেও এখন স্পষ্ট তারার আলোয়।

শ্রান্তি গেল। শীতল বাতাস এসে ছুঁলো। বলল, চলো।