Skip to main content
যতবার দেখেছি, মাথা নীচু
চোখ, লোহার ত্রিফলা পাটাতনে, জুড়ছেন কোনো ছেঁড়া চটি
তাকিয়ে দেখছেন না, কার পায়ের তলায় রাস্তা হেঁটে চটিটা ছিঁড়ল
কত গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ শীত বসন্ত তার দোকানের সামনে দিয়ে গেল
      তিনি ফিরে তাকালেন না
শুধু ক্যালেন্ডারের নির্বিকার হাস্যমুখ দেবতার সারা গায়ে জমল ঝুলকালি।
 
    সমাজ বদলালো, আদবকায়দা বদলালো
    সবাই সার করে হেঁটে গেল দোকানের সামনে দিয়ে
       স্পষ্ট দিনের আলোকে। তিনি ফিরে তাকালেন না।
     শুধু জানলেন জুতোর অনেক প্রকার বদলেছে
               তবু ছেঁড়ে সবই - নতুন পুরোনো হয়

তার শরীরের উপর কালের রেখা স্পষ্ট
  তবু মাথা তুললেন না একবারও
আচ্ছা ওর মনের দুনিয়ায় কোনো বাগান নেই?
   তাতে ফুল নেই, নদী নেই, নেই মন খারাপের মেঘ?

ভাবলাম জানব আজ
ছেঁড়া চটির আছিলায় গেলাম নীচু চোখের পাশে
পাশের টুলে আপনি বসে চটি বাড়িয়ে বোঝালাম -
            আমার তাড়া নেই

কথার পর কথার ছিপ ফেলে
    কথার পর কথা খুঁজেই চলি
কিন্তু আসল কথাটা কই?
  বললাম, কি ভাবো, কিছু বুঝলে জীবন মানে?

হাসলেন। বললেন,
   শুধুই তাকিয়ে থাকো
  তোমার সামনে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে সংসারস্রোত
ভাল করে দেখো, তোমার যা পুঁজি -
     তাতে কটা ছেঁড়া চটি জোড়াতে পারো
   নিখুঁত না হলেও, কাজ চলে যায় এমন
        এটাই হল জীবন!

Category