এই যে চুপ করে ঘন্টাখানেক ধরে ট্রেনের সিটে চুপ করে বসে আছি, সে ট্রেনটা চলছে বলেই যে না! নইলে কখন অস্থির হয়ে এটা-সেটা করে নিজেকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলতাম।
ওই যে, চোখ বন্ধ করে, ১০৮টা রুদ্রাক্ষ গেঁথে গেঁথে মালা বানিয়ে মানুষটা জপ করছে। ও একটা বসার সিট খুঁজছে। মনটাকে মন্ত্রের চাকায় চড়িয়ে দিয়ে, একটু জিরিয়ে নিচ্ছে। নইলে মনটার বায়নায় বায়নায় মানুষটার এক মুহূর্ত বসার জো আছে!
ফেসবুক, ওয়াটস অ্যাপ, ইউটিউব, সিরিয়াল, গপ্পোর বই, সিনেমা সব সব - সেই এক ফিকির, মনটাকে কোনো একটা চাকায় চড়িয়ে জিরিয়ে নেওয়া। এমনকি নেশার ঘোরে ডুবতেও রাজি সে।সে চাকার দিশা না থাকুক, গতি থাকলেই হল তখন।
আর যদি কোনো চাকাই না পাওয়া গেল? তখন বড় মুশকিল। রাশ টানা গেল তো ভালো। কিন্তু সকলের কব্জিতে কি আর অত জোর থাকে বলো? তখন বাইরে ভিতরে সব নিয়ম নীতি ঘেঁটে এক্কেবারে ঘ। কেউ বলে ছিটেল, কেউ বলে উন্মাদ। সেটা নির্ভর করে রাশ ছিঁড়ে ঘোড়া কদ্দূর গেল তার উপর।
তাই না বলে, চাকা আবিষ্কার মানুষের একটা শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার! সে ধর্মেরই হোক, কি ঝাণ্ডারই হোক। চাকা চাই চাকা।
সৌরভ ভট্টাচার্য
5 November 2017