Skip to main content

 

থ্যালামাস কহিল, ওহে, ওষুধের qr code কেন স্ক্যানিত না হয়?

অ্যামিগডালা কহিল সভয়ে, মনে বাসি ভয়…ওষুধ নকল কী তবে? মনে লাগে ভয়?

ইনসুলা কহিল ধীরে, তলপেটে লাগে চাপ, বুকে ধরে হাঁপ, দপদপ মাথা করে। অমঙ্গলের সঙ্কেত যেন পাই?

হিপ্পোক্যাম্পাস চিত্রগুপ্ত, খাতা মেলি ধরে, কহে, ভাই ইনসুলা, অ্যামিগডালা, শোনো বলি যাই। পূর্ব অভিজ্ঞতা বলে, যাহা যাহা আসল, হইয়াছে স্ক্যানিত, পাইয়াছ সুনিশ্চিত সুখ, এমনই তথ্য পাই।

বেসাল গ্যাংলিয়া করিয়া জৃম্ভণ, কহিল উদাস্বরে, পাইলেই ভয়, ঘন ঘন শৌচাগারে কেন মোরে লও।

এতসব শুনি, প্রিফ্রন্টাল কমপ্লেক্স কহিল চিন্তিয়া, রহু ধৈর্য্যং….রহু ধৈর্য্যং….তথ্যাদি বিশ্লেষণ করি দেখি আমি আগে। ঔষধ আসল হইলে, হইবে স্ক্যানিত। ব্যাচ নাম্বার। ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট। এক্সপায়ারি ডেট ইত্যাদি রহিবে লিখিত। কেন নাহি পাও…ভাবিবার বিষয় ইহা, প্যানিকিত নাহি হও।

এসিসি সর্বস্ব শুনি, কহে আপনারে, এত এত বিরোধে সাম্য কী প্রকারে রাখি, ওহে অন্তর্যামী কহো গো আমারে!

প্রাচীন মস্তিষ্ক দণ্ড, দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি, কহে ওহে বুদ্ধিজীবী প্রাণী, আপন চাতুরীজালে আপনারে বাঁধি, করিয়াছ নির্বাসতি সুখ শান্তি আদি। এবে ঈশ্বরকে ডাকি পাইবে কি তারে? বুঝাও আমারে!

(ওষুধ কেনার আগে একবার স্ক্যান করে দেখুন qr code টা। যদি না হয় দোকানিকে জানান। জাগ্রত ক্রেতা হোন। ভাগ্যিত নয়।)