বিচার ঠিক ভুল হয় না। বিচার আইনানুগ হয়। সভ্যতার সেই প্রাচীন কালে সক্রেটিসের বিচার আইনানুগ ছিল। খ্রীষ্টের বিচার আইনানুগ ছিল। আমাদের দেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় হাজার হাজার “দেশদ্রোহী”র বিচার আইনানুগ ছিল। তাদের ফাঁসি, নির্বাসন, কয়েদবাস সব আইনানুগ ছিল। এ সব বিচারেই বাদী বিবাদী দুই পক্ষের কথাই শোনা হয়েছিল। এবং বিচার প্রমাণ নির্ভর হয়েই আইনানুগ হয়েছিল।
সময় এগিয়ে যায়। ধীরে ধীরে আইনের রক্ষকেরা মিলিয়ে যায়। তাদের ছটা ম্লান হয়। তখন “কালাকালের কর্তা”র চিরকালীন আইন স্পষ্ট হয়। অনেক সময় সেদিনের বিচার কালাকালের কর্তার বিচারে নতুন আলো পায়। বাদী বিবাদীর স্থান বদল হয়।
বিচার সব সময় আইনানুগ হয়। ঠিক, ভুল হয় না। মানুষের মনে থাকে না। কালাকালের কর্তার মনে থাকে। মধ্যাকর্ষণের মত। যে ওড়ে সে একদিন ভুলে যায়। মধ্যাকর্ষণ ভোলে না। তাই তার ওড়ার জ্বালানি ফুরালে মধ্যাকর্ষণ আবার ডেকে নেয় মাটিতে। লোকে বলে মুখ থুবড়ে পড়ল। কালাকালের কর্তা বলে, যা হওয়ার তা হল।