সৌরভ ভট্টাচার্য
10 February 2019
ইনিয়ে-বিনিয়ে কোঁৎ পাড়ার শব্দ শোনানোর জন্য কলম ধরি না। কখনও সন্ধ্যে আর বিকেলের সন্ধিক্ষণে একা সমুদ্রতীরে বসে থেকেছ। পিছনে ঝাউবনে হাওয়া খেলে বেড়ানোর একটানা, কখনও তীব্র, কখনও হালকা শব্দ ভেসে আসছে। সামনে, ঢেউগুলো তোমার সামনে সশব্দে ভেঙে ভেঙে পড়ছে, তোমার থেকে কিছুটা দূরে, মানে যতটা দূরত্ব তুমি রেখেছ সমুদ্রের সাথে। আকাশে তখনও একটাও তারা নেই, অথবা থাকলেও হয়ত তোমার চোখে পড়েনি। যেন আকাশটা আলো হারাতে হারাতে তারার অপেক্ষায় একটা মন খারাপ নিয়ে ভারমুখ করে দাঁড়িয়ে। যেমন মায়েদের মুখটা হয় বাচ্চাটাকে প্রথম স্কুলবাসে তুলে দেওয়ার পর, আনমনে হাত নাড়তে নাড়তে, খেয়ালই করছে না বাসটা অনেকক্ষণ তার চোখের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
সেই নির্জনতায় মনের বালির তীরে কত ভাঙাগড়া হয়। কত মানুষের পায়ের ছাপ, কত মানুষের ফেলে যাওয়া সময়ে ক্ষয়ে যাওয়া জিনিস, কিছু উড়ে যাওয়া পাখিদের ডানার পালক, কতবারের চেষ্টায় গড়া ঘরের ভেঙে পড়া স্তূপের অর্থহীন আলপনা….. এরা কথা বলে। এদের কথা সেই ঝাউয়ের পাতায়, বাতাসের ছোঁয়ায়, তারাদের চাহনিতে ফুটে ফুটে ওঠে... সেই কথাগুলোই বলি.. বলেই চলি... নইলে মাটিতে মিশেও মাটি হব না যে!