Skip to main content

আমার আশেপাশের সব ফ্ল্যাটের সব্বাই পাক ছুটি
কেউ যাক দিঘা, কেউ পুরী। কেউ ভাইজ্যাগ, কাশ্মীর
        এমনকি সুইজারল্যান্ড বা প্যারিস
   যাক না, যেখানে খুশী যাক। হিংসা আজ ফাটা কোলবালিশ।
তুমি এসো সন্ধ্যেবেলা। 
আমি সমস্ত চমক আগলে, বুকের হাতুড়িটাকে সামলে, বসাই চা।
তুমি বসার ঘরে বসা।
আচমকাই সব যানবাহন যাক থেমে। ধরো কোনো বনধ্-ই না হয় হোলো।
        কারণ? কোনো নেতা যাক না জেলে!
তুমি বললে, ইস্, ফিরব কি করে?
আমি বলল, বুকের হাপরটাকে চেপে, তাই তো, এইবার কি হবে?
হঠাৎ হল লোডশেডিং। 
তুমি বললে, ইনভার্টার কি হল?
আমি বলব, খারাপ ওটা, দিন পাঁচ ছয় হল।
   মিথ্যা? সে আর বলতে! তবে সে সব কথা থাক।
আমি বলব, এসো না, ব্যালকনিতে বসা যাক।
   সেদিন না হয় পূর্ণিমা হোক। মাথায় জ্যোৎস্না ছাদ।
তোমার খালি পা মার্বেলেতে, ঘটুক না পরমাদ।

তুমি বলছ কত কথা। আমার শ্বাসের গতি ছুট।
আমি ঢোক গিলছি, দম নিচ্ছি, গলায় শুকনো বিস্কুট।
একটু তুমি বেসামাল হও। আমি তো হয়েই আছি।
বেডকভারটা নীল রঙ হোক। গন্ধ, ঘামের কাছাকাছি।
কথা জড়াক অমনোযোগে। আগুন জ্যোৎস্না পোড়া রাত। 
        আদিম রিপু গ্রামে বেরোক, যেন মানুষখেকো বাঘ।
     ওকে ধোরো না কেউ। থাক।
সব সমুদ্র উঠুক দুলে। হিমালয়ে নামুক ধ্বস। 
দাবানলে যাক অ্যামাজনের বুক। 
   তবু, তবু ঘোর না কাটুক। রাত অবশ।
সব শান্ত হল যখন। জানলার ক্যানভাসে শুকতারা।
     ভোরের পাখির আড়ামোড়া, দরজায় দুধওলায়ার কড়ানাড়া।
ফিরে আসুক কাজের মাসি। বন্ধু, অফিস, আর যত্ত সব হাবিজাবি।
আমার ভিতর বাইরে লণ্ডভণ্ড। বুকে বাউল অন্তর্যামী।

Category