সাদা শাড়ী পরা পৃথুলা মহিলা সন্ধ্যের অন্ধকারে ধীরে ধীরে হাঁটছেন। কৃষ্ণ মন্দিরের সামনে দাঁড়ালেন। মাথা নীচু করে হাতজোড় করে আঁচলটা বুকের কাছে এনে প্রণাম করলেন। চাবির গোছা ঝনঝন করে উঠল।
আরেকটু এগিয়ে গেলেন। স্ট্রীট লাইটের তলায় জোরে মাইক চালিয়ে গান বাজছে.... বদ্তমিজ দিল...বদ্তমিজ দিল... কেক বিক্রী হচ্ছে। সামনে বড়দিন। উনি গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে আসলেন। আঁচলের খুঁট খুললেন। চাবির গোছার আওয়াজ হল, ঠুনঠুন। একটা ছোট কেক দেখিয়ে বললেন, এটার কত দাম রে?
কিনলেন। ধীরে ধীরে ইলেক্ট্রিকের দোকানের দিকে হেঁটে গেলেন। আবার আঁচলের খুট খুললেন। ফের চাবির শব্দ, ঠুনঠুন। বললেন, একটা ফোন করব। ইলেক্ট্রিক দোকানের মালিক বুথের দরজা খুলে এগিয়ে গেলেন, কি নাতিকে ফোন করবেন?
কথা হল। উনি বেরিয়ে এলেন। মোটা চশমার কাঁচের ভিতর স্ট্রীট লাইটের আলো দেখল ভিজে চোখের প্রতিফলন।
আসবে বলল? দোকানওয়ালার উত্তর না শুনতে চাওয়া প্রশ্ন।
দেখি, একটা কেক কিনলাম তো! যদি পাঠায়... যা পড়ার চাপ..
উত্তর না দিতে চাওয়া চলার গতি। চাবি বাজছে ঠুনঠুন...
মাইকে তখনও বাজছে... বদ্তমিজ দিল.... বদ্তমিজ দিল....