বাঘবন্দী খেলা। ১৯৭৫ সালের সিনেমা। প্রফুল্ল রায়ের গল্প। পীযুষ বোসের পরিচালনা।
বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন একমেবাদ্বিতীয়ম উত্তম কুমার। বাড়ি ফিরলেন, মদ্যপ, রাতে খেতে বসে মাংসের পিস গুনে নিচ্ছেন পাতে এক এক করে। কম পড়ল। স্ত্রী মিনতি করে বলছেন, ছেলেমেয়ের জন্য তুলেছেন ক'টা। বাবা গর্জে উঠলেন। পাতে বাকি কটা পিস মাংস পড়ল। ছেলেমেয়েরা জানলা থেকে লোলুপ অসহায় তাকিয়ে থাকল।
আঁতকে ওঠার মত দৃশ্য। আসলে গোটা সিনেমাটাই ভদ্রলোকের আঁতকে ওঠার মত অভিনয়, শিউরে ওঠার মত অভিনয়। এও বাবার অভিনয়। এও আরেক বাবা। কঠিন বাবা নন, কমল মিত্রের, "সুটকেসটা রাখো" মত। কিম্বা আদুরে বাবা নন পাহাড়ি সান্যালের মত। কিম্বা ছবি বিশ্বাসের মত অর্থোডক্স বাবাও নন। এমন সাংঘাতিক বাবার অভিনয়, ওরকম ঘোল খাইয়ে কূট অভিনয়, খুব কমই আছে বাংলা সিনেমায়।
আসলে সারাদিন এমন সব বাবা সংক্রান্ত পোস্ট দেখছি, মানে সিনেমার বাবারা আরকি, সেখানে এই বাবার দল কেন ব্রাত্য হবে? বাস্তবে তো এমন সব বাবাদের গল্প দেখছি, শুনছি, জানছি যে তাদের ছেলেমেয়েদের বাবা দিবস নামটাতেও আতঙ্ক লাগে। যাক সে কথা। কথাটা আসলে এই, "পিতা পুত্রে নাহি দেয় স্থান, হেথা সুখ ইচ্ছ মতিমান" স্বামীজী এরকম একটা বাবা-দ্বন্দ্বের কথা সেই কবে লিখে গেছেন।
হঠাৎ এসব কথা কেন? এমন উজ্জ্বল সব পোস্টের মাঝে? এমনি। আরেক পক্ষও তো বলা দরকার, নাকি?