Skip to main content

যার কোনো কূলে কেউ নেই, সেও চায় তার যাওয়ার পথ কেউ অন্তত আটকাক। কেউ দাঁড়িয়ে বলুক, তুমি চলে গেলে আমার অসুবিধা হবে। তোমার থাকাটার একটা মানে আছে আমার কাছে।

যার কেউ নেই। তারও অভিমান হয়। কার উপর সে স্পষ্ট জানে না। কিন্তু হয়। কেউ চোখ মোছানোর নেই জেনেও সে চোখের জল ফেলে। সে রাগে। ভালোবাসে। কাকে সে নিজেও জানে না।

যার কেউ নেই, সে সব সময়ের জন্যেই নিঃসঙ্গ জেনেও, এমন এক নিঃসঙ্গতা খোঁজে, যেখানে কোনো নিঃসঙ্গতা তাকে ছুঁতে পারবে না। এমন একাকীত্ব খোঁজে, যেখানে কোনো একাকীত্ব বোধ পৌঁছাতে পারে না।

তাকে মাড়িয়ে মাড়িয়ে চলে যেতে দেখেছি অনেকবার। অনেককে। সে উঠে দাঁড়াবার জন্য সব কিছুর পরেও আবার একটা মানুষেরই হাত খুঁজেছে। মানুষ তো। খুঁজবেই। যতক্ষণ শ্বাস আছে মানুষ মানুষকে খুঁজবেই। সে শত্রুতার জন্যে হলেও খুঁজবে।

বাঁচতে গেলে একটা সুতো লাগে। আরেক দিকে সুতোটা ধরার জন্য আরেকজন লোক লাগে। একা সুতোটা টেনে টেনে কদ্দিন ঘুরে বেড়ানো যায়? অবশেষে সে নিজেই সুতোর দুদিক ধরল। তারপর এমন টানল, ছিঁড়ে গেল মাঝখান থেকে। দু ফালা হল। হারিয়ে গেল।

তাই এত কিছুর পরেও যখন সে জানল, অবশেষে মানুষের সামনেই ভিক্ষার হাত পাততে হবে, তখন সে নিজেকে নিয়ে হারিয়ে গেল। একেবারে হারিয়ে গেল। এমন হারালো যে ঈশ্বরেরও মনে পড়ল না যে তাকে কোনোদিন সৃষ্টি করা হয়েছিল।

তার এখন একটাই পরিচয় - ভিখারি।