Skip to main content

 "আত্মনিন্দা পাপ, আত্মহত্যার চেয়ে বেশি।" ~ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

       আত্মঘৃণা বা আত্মনিন্দা – এক গভীর মানসিক ব্যাধি। ইংরাজিতে যাকে বলে 'Self-condemnation' বা 'Self-loathing'.

       ক্রমাগত মনের গভীরে নিজেকে দোষী ভাবা, নিজেকে ব্যর্থ ভাবা, নিজেকে অযোগ্য ভাবা – এ গভীর ব্যাধি একটা। “এ সব ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসো”, এ বলা যত সোজা, আদতে তত সোজা কাজটা নয়, কারণ রোগটার শিকড় অনেক গভীরে। এ ব্যাধির সূত্রপাত হয় তার শৈশবে, ক্রমে পূর্ণাঙ্গ আকার ধারণ করতে শুরু করে কৈশোরে ও যৌবনের প্রারম্ভে।

 

আত্মনিন্দা বনাম নম্রতা

=================

যদি মনে হয় এটা আমাদের স্বভাবের নম্রতার পরিচায়ক, বা আত্মসমালোচনার দিক, অর্থাৎ এটা আমাদের স্বভাবের একটা সদর্থক দিক, তবে খুব ভুল হবে। নম্রতা স্বভাবের একটা গুণ নিশ্চয়, কিন্তু আত্মনিন্দা নয়। “মিথ্যা নিন্দা রটাস নে নিজের, সে যে পাপ... তিনি বলে গেলেন আমায় নিজেরে নিন্দা কোরো না, সে যে পাপ”। রবীন্দ্রনাথের চণ্ডালিকা। নম্রতা নিজেকে নিয়ে ক্ষোভ নয়, নিজেকে স্বীকার করে নেওয়া সানন্দে, সহজে। তাই নম্রতা মানে সদর্থক বোধ। চেতনায় আলোর বোধ। কাজে আত্মবিশ্বাসের বোধ।

       আত্মসমালোচনাও কখনও আত্মনিন্দা নয়। সেখানেও নিজের ক্ষমতা, নিজের ভুল-ত্রুটির একটা সদর্থক, নৈর্ব্যক্তিক আলোচনা। এবং সব চাইতে বড় কথা, সে আলোচনাও সানন্দে ও সহজে মনের মধ্যে ঘটে। কোনো জটিলতা সৃষ্টি করে না। যে মানসিক জটিলতা সৃষ্টি হয় আত্মনিন্দা বা আত্মঘৃণা থেকে।

 

অভিভাবকত্ব

==========

অনেক কম বয়েস থেকে এই ব্যাধির সূত্রপাত আগেই বললাম। বাবা-মায়ের সাথে যদি সন্তানের অ্যাটাচমেন্ট খুব বেশি থাকে তবে এই রোগটা হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে। কারণটা একটু তলিয়ে দেখতে হবে।

 

কেস ১

-----------

অ্যাটাচমেন্ট আর ভালোবাসার মধ্যে অনেক পার্থক্য। অ্যাটাচমেন্টে অনেক বেশি প্রশ্রয় থাকে যা ভালোবাসায় থাকে না। ভালোবাসায় একটা স্পেস দেওয়ার, একটু দূর থেকে সন্তানের বেড়ে ওঠাকে নজরে রাখার ব্যাপার থাকে। প্রবল অ্যাটাচমেন্টে তা থাকে না। সেখানে সেন্টিমেন্টালিজমের দাপট অনেক বেশি। মান-অভিমানের প্রাবল্য অনেক বেশি।

       একটা শিশু যখন এই অ্যাটাচমেন্টের মধ্যে বেড়ে ওঠে, যেখানে অনেক বেশি প্যাম্পারিং, অনেক বেশি যত্ন, অনেক বেশি পেয়ে যাওয়া, সেখানে শিশুর স্বভাবের মধ্যে একটা দুর্বলতা প্রবেশ করে। ক্রমে যত সে বড় হয় তত সে বোঝে বাবা-মায়ের এই ভালোবাসার আতিশয্য তার কাছে অনেকটা কামধেনুর মত। সে কিছুতেই এটা হারাতে চায় না। নিজের যোগ্যতা বোঝার, কোনো জিনিসের আর্থিক বা বিষয়গত মূল্য বোঝার ক্ষমতা তার মধ্যে তৈরি হয় না। সে জানে সে চাইলেই পায়। সে জানে সেই তার বাবা-মায়ের সব কিছুর কেন্দ্র।

       তবে আমি যে ব্যাধিটা নিয়ে কথা বলছি তার প্রত্যক্ষ কারণ এটা নয়। এটা চিকিৎসার ভাষায় সেকেণ্ডারি ইনফেকশান ঘটার সুযোগ করে দেয়। কেমনভাবে? সেইটা বলার। কোনো বাবা-মা'ই মুখে যাই বলুন সন্তানের কাছে সম্পূর্ণ প্রত্যাশাশূন্য হতে পারেন না। সেটা সম্ভব নয়। মুখে না বললেও আচার-আচরণে প্রত্যাশার দিকটা প্রকাশিত হয়েই পড়ে। কিন্তু যখন আমাদের আলোচ্য এই বিশেষ ক্ষেত্রের সন্তানটি বাবা-মায়ের প্রত্যাশানুরূপ না হতে পারে, তখন শুরু হয় তার মধ্যে একটা গভীর অপরাধবোধের সূত্রপাত। তার অজান্তেই নিজেকে ব্যর্থ, অযোগ্য, ঘৃণ্য মনে হতে শুরু হয়। কারণ বাবা-মা তার জন্য এত কিছু করলেও সে নিজে কিছু করতে পারল না। কি কর‍তে পারল না? সে বাবা-মায়ের ইচ্ছানুরূপ হতে পারল না।

       এইখানেই একটা সুক্ষ্ম পার্থক্য ঘটে যায়। বাবা-মায়ের সঠিক তত্ত্বাবধানে বেড়ে ওঠা সন্তান নিজের যোগ্যতা, নিজের স্বপ্নকে চিনতে শেখে। বারবার অকৃতকার্য হলেও যেহেতু ইচ্ছাটা তার নিজের তাই সে আবার চেষ্টা করতে পিছিয়ে আসে না। সাময়িক ব্যর্থতা, সাময়িক অবসাদ তার হলেও তা 'আত্মনিন্দা' ব্যাধিতে পরিণত হয় না। কারণ তার বেড়ে ওঠায় সচেতন ভালোবাসা ছিল, শাসন ছিল, সঠিক গাইডেন্স ছিল। সেন্টিমেন্টালিজমের কুয়াশা ছিল না। প্রচণ্ড মাখামাখি ছিল না। নিজের যোগ্যতা, নিজের ইচ্ছা নিয়ে কোনো ধন্দ তৈরি হওয়ার অবস্থা হয়নি তার।

 

কেস ২

----------

অতিসমালোচনা, অতিনিন্দা। এটি আগেরটার থেকে একেবারে বিপরীত, কিন্তু বিষফল এইক্ষেত্রে আরো বেশি মারাত্মক। সারাদিন সন্তানকে বুঝিয়ে দেওয়া তার যোগ্যতা নেই। ক্লাস সেভেনের ছেলে মাঠে নামল ক্রিকেট খেলতে, বাবা তাকে সচীন বা সৌরভের সাথে তুলনা করে বললেন, কই ওদের মত যোগ্যতা কই? এই বলটা সচীন হলে খেলত জানিস তো? উফ্..., আমি ভাবতেই পারি না, কবে যে হবি? ক্লাস নাইনের ছেলে গান গাইতে বসল, বাবা অমনি লাফিয়ে উঠে বলল, আরে এ গান তো দেবব্রত বিশ্বাসের, আহা এরকম হয় না, দেবব্রত'র মত হচ্ছে না, মান্না দে'র মত হচ্ছে না, রফি'র মত হচ্ছে না... ইত্যাদি ইত্যাদি।

       এই অতি কঠোর অবাস্তব সমালোচনা সন্তানের মেরুদণ্ডটাকে দুমড়ে মুচড়ে শেষ করে দেয়। অনেক সময় মা সেই জায়গাটায় একটা সুব্যবস্থা আনেন, অথবা মা রূঢ় অতি-অবাস্তব সমালোচক হলে বাবা একটা সাম্যাবস্থা আনেন। কিন্তু যখন দু'জনেই একই কাজ করেন, বা একজনও প্রতিবাদ করেন না, তখন সন্তানের গভীরে ঢুকতে থাকে – সে আসলে কিছুই পারে না। আত্মনিন্দার বিষনদী।

       অতি-প্রশ্রয় আর অতি-সমালোচনা – এ দুটোই অবশেষে সন্তানের মনে একটা ধারণা তৈরি করে বসে, আমায় নিয়ে আমার বাবা খুশি নয়। অথচ যে অ্যাপ্রিশিয়েশানটা ছোটোবেলায় প্রথম বাবা-মায়ের কাছ থেকেই সন্তান আশা করে, যা ক্রমে তার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, আত্মপরিচয় তৈরি করে। বারবার অন্যের সাথে তুলনা কিম্বা বারবার অতি-ভালোবাসার জালে আটকে সন্তানের দুর্বলতা তৈরি করে সেই দুর্বলতার গর্তে নিজের স্বপ্নের বীজ রোপণ করে দেওয়াটা একটা অপরাধ। কারণ সে বীজ শুকিয়ে মরলে সে দোষী, আর সে বীজে গাছ জন্মালেও সে গাছ তো তার নিজের স্বপ্নের নয়, তাই নিজের জীবনে সে পরবাসী। এ দুই-ই ভীষণ সাংঘাতিক অপরাধ। সামাজিক অপরাধ।

 

ধর্ম ও সমাজ

==========

“জানো আমি কিছুতেই আটকাতে পারি না, তোমার বৌদি পাশে শুলেই আমার মধ্যে কামের বোধ জেগে যায়, আমি সামলাতে পারি না আর। অথচ দেখো ঠাকুর রামকৃষ্ণদেব বলছেন, দুটো সন্তানের পর ভাইবোনের মত থাকতে। আমার যদিও একটা, কিন্তু আর নেবো না তো দু'জনেই ঠিক করে ফেলেছি, তা হলেও কেন বলো তো বারবার এই ভুল হয়ে যাচ্ছে?”...।

 “আমার একটা ছেলেও সন্ন্যাসী হল না দেখো! ছোটোবেলা থেকে ওরা বেলুড় মঠে যাতায়াত করে, এত বড় বড় মহাপুরুষদের প্রণাম করে। সন্ন্যাসী মানেই তো ঈশ্বরের কাছে পৌঁছে গেছে বলো। রামকৃষ্ণদেব কি বলতেন? কামিনী-কাঞ্চন নিয়ে সংসার। আমার ছেলে দুটোই তাতে ঢুকল, দু'জনেই বিয়ে করল। মঠে গেলে ওইসব মহারাজদের দেখলেই আমার মনে হয় যদি আমার সন্তানেরা অমন হত! আমার তো কিছুই হল না সারাজীবন, শুধুই সংসারের পাঁক ঠেলে গেলাম।“

 

       ধর্মের মধ্যে একটা মোহ আছে – শুদ্ধতার মোহ, জ্ঞানের মোহ, ঈশ্বর দর্শনের মোহ। বস্তুগত কারণে জন্মানো মোহ ভাঙার তাও একজন মানুষের সারা জীবনে কখনও কখনও সুযোগ আসে। কিন্তু শুদ্ধতা, জ্ঞান-ভক্তি, ঈশ্বর দর্শনের মোহ ভাঙতেই চায় না। যেহেতু ক্রাইটেরিয়া মাপা হয়ে গেছে যে "মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য ঈশ্বরলাভ", এবং সে ঈশ্বরলাভ করতে যে পরিমাণ ধৈর্যরেতা, মানে বীর্যসঞ্চয়ী হতে হয়, তা আধুনিক ইন্টারনেট যুগে অত্যন্ত সুকঠিন বলে আরেক ধরণের আত্মনিন্দা জন্মায়। কাল্পনিক অশুদ্ধ জীবনযাপনজনিত আত্মনিন্দা, এ অনেকটা দার্শনিকের আত্মনিন্দা। আমি সংসার ত্যাগী সাধু হলাম না, আমার কাম জয় হল না, আমার ঈশ্বরদর্শন হল না ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে এদের সংখ্যা কম। আমার মনে হয় এরাই সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঠাকুর-দেবতার ছবি পোস্ট করে, নিজেদের প্রোফাইলে কোনো মহাপুরুষ বা দেব-দেবীর ছবি দিয়ে রাখে, এবং নানা মহাপুরুষের বাণীজীবী হয়ে সারাদিন বাণী পোস্টাতে থাকে। নইলে সত্যিকারের ভালোবাসায় বিজ্ঞাপন থাকে নাকি? যার মধ্যে কামজাত অপরাধবোধ যত বেশি তার মধ্যে শুদ্ধ জীবনের জন্য পাগলামিও তত বেশি। এ ফ্রয়েডীয় তত্ত্ব। মানুষের শুদ্ধতা বলতে একটাই, কারোর ক্ষতি না করা, নিজেরও ক্ষতি না করা। এর বাইরে যা আছে তা সবই মনের বিকারজাত শুদ্ধতানুশীলন। কিন্তু এই সহজ বোধটা নানা ধর্মীয় গ্রন্থ ও নানা মহাপুরুষের কাঁড়ি কাঁড়ি মিথ্যাকথা, অবান্তর আজগুবি জীবনীগুলো শেষ করে দেয়।

       এরপর আসে নানা সামাজিক মানদণ্ড। আশার কথা এই যে তা ক্রমে শিথিল হচ্ছে। আগে যেমন পদে পদে মানুষ সামাজিক মানদণ্ডভ্রষ্ট হচ্ছে বলে নিজেকে দোষারোপ করে করে গ্লানিতে শেষ হত, ইদানীং তা হয় না। শুধুমাত্র বৈধব্য নিয়েই কত জলঘোলা হয়েছে সে কথা স্মরণ করালেই আমার বক্তব্য পরিষ্কার হবে আশা করি। কিন্তু এখনও নানা উদাহরণ আছে। যেমন কোনো দম্পতির বাচ্চা না হওয়া, কোনো মানুষের যৌনপছন্দে সংখ্যালঘু হওয়া, বেশি বয়সে জীবনসঙ্গী খুঁজতে যাওয়া ইত্যাদি নানা বিষয়ে সমাজ আজও কি খুব মুক্তমনা? নানা প্রশ্নে তাকে জর্জরিত করে তুলবে। ভিক্টিম যে, সে মরমে মরে গিয়ে বেঁচে থাকবে। তার মনের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে কৃত্রিম অপরাধবোধ। তাকে মনের মধ্যে একঘরে দেওয়া। তার আত্মনিন্দাকে উস্কে উস্কে তার স্বাভাবিক বাঁচাকে বিপন্ন করে তোলা।

 

সোশ্যাল মিডিয়া

=============

"কত মানুষ কত কিছু পারে, আমি কিচ্ছু পারি না। ও কত ভালো পারে! আমি একদম পারি না। ওর কত লাইক, কত কমেন্টস, কত শেয়ার – আমার কই? আমার আগের লেখায়/ছবিতে/ভিডিওতে কত লাইক, কত কমেন্টস, কত শেয়ার – এবারে কই?"

       এই সোশ্যাল মিডিয়া একটা মিথ্যা সহজলভ্য সেলেব্রিটিবোধ তৈরি করে দেয়। যেন আমি একটা বিশেষ কিছু। এ একটা নেশা। কিছু মানুষের বাহবা, প্রশংসা, ভালোবাসায় নিজেকে ক্রমে উপরে তুলতে তুলতে বাস্তবতার বোধ হারিয়ে ফেলা। এ ভয়ানক। কি মারাত্মক মাত্রায় ক্রমশ মানুষ ডিপ্রেশানে চলে যায় তার আশানুরূপ স্বীকৃতি না পেয়ে, আবার কি সাংঘাতিক একটা ইউফোরিয়ায় ভাসে কিছু ভাইরাল হলে, তা অহরহ দেখছি।

       নিজেকে নিয়ে নিজে তুষ্ট থাকা, নিজেকে নিয়ে নিজে ব্যস্ত থাকা ইত্যাদির অভ্যাস না গড়ে তুললে বিপদ। এইসব মিডিয়ায় যে সঠিক বন্ধু পাওয়া যায় না তা বলছি না, কিন্তু নিজের পরিমণ্ডলে, নিজের নন-ভার্চুয়াল জগতে যদি নিজেকে নিঃসঙ্গ, অযুক্ত রাখি, তবে ক্রমে আমার মধ্যেই একটা আমার ছায়াময় অস্তিত্ব তৈরি হয়, যে লাইক-শেয়ার-মন্তব্যের স্ট্যাটেস্টিক্সে বাঁচে-মরে। এ এক নতুন ধরণের অবসাদ, নতুন ধরণের আত্মহননের ধারা। আরেক ধরণের অসুস্থতার খাদ তৈরি করে নিজের মনের মধ্যে নিজের অজান্তেই।

 

লক্ষণ

=====

অবসাদ। সিদ্ধান্ত-হীনতা। রাগ। ক্ষোভ। অস্থিরতা। অমনোযোগী হয়ে পড়া। সম্পর্ক গড়তে বারবার ব্যর্থ হওয়া।

 

উপায়

=====

সক্রেটিস বলতেন মানুষের শ্রেষ্ঠজ্ঞান হল আত্মজ্ঞান। এ আমাদের প্রাচ্যের আত্মজ্ঞান নয়। বাস্তবিকভাবে আত্মজ্ঞান। নিজেকে ভালোভাবে বুঝতে চেষ্টা করা, জানতে চেষ্টা করা। নিজেকে যত স্পষ্টভাবে বোঝা যায় তত যে-কোনো ধোঁয়াশা কাটতে শুরু করে সহজেই।

       বুদ্ধ বলতেন, স্ব-অনুকম্পার অভ্যাস। নিজেকে ক্ষমা করার কথা। খুব কঠিন কাজ। কিন্তু ধীরে ধীরে করে ফেলতে হয়। নিজেকে গভীর থেকে ক্ষমা না করলে নিজের মুক্তি নেই নিজের কাছেই।

       রামকৃষ্ণদেব বলতেন, নিজেকে পাপী পাপী বলতে থাকলে শেষে পাপীই হয়ে যায়।

       যদি ঈশ্বরে সত্যিই খাঁটি বেমতলব বিশ্বাস থাকে, তবে সহজ উপায় হচ্ছে, নিজের বিচারের ভার নিজে না নিয়ে, তাঁর হাতেই ছেড়ে দেওয়া – “আমার বিচার তুমি করো তব আপন করে”। আর যদি না থাকে, তবে "আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী 'পরে", এই কথাটা ভাবতে থাকা।

       এর বেশি হলে অবশ্যই মনোবিদের সাহায্য নেওয়া দরকার।