প্রতিদিন ভোরের এই সমুজ্জ্বল অরুণোদয়
প্রতিদিন উচ্ছল ঝরণায় আঁকা
এই মায়াময় রামধনু
প্রতি সন্ধ্যায় দূরের অসীম আকাশের বুকে
আরক্ত হয়ে ওঠা তুষারাবৃত পর্বতশিখর
সূর্যালোকস্নাত ক্ষুদ্র মক্ষিকার আত্মমগ্ন গুঞ্জন
ধরিত্রীর আঁচলসমা কোমল ঘাসের প্রতিটা শীষ
বিশ্বসংগীতে এরা প্রত্যেকে জেনেছে আপন আপন স্থান
মিলিয়েছে আপন আপন সংগীত বিশ্বতানে
পূর্ণ হয়েছে প্রেমে, সার্থক হয়েছে প্রাণ
শুধু আমি-ই রয়ে গেলাম চির অজ্ঞ
না জানলাম, না বুঝলাম
চির রহস্যময় এ মানবহৃদয়
চির অধরা রইল এ নিখিল সংগীত
কত সুরে প্লাবিত হল এ বিশ্বলোক
কত সুর গেল ফিরে অতীতের আঁধারে
আমিই শুধু রইলাম অনাহুত, বহিরাগত এ আনন্দযজ্ঞে
নিজের মধ্যে রইলাম মূক, নিদারুণ বিচ্ছেদ-বেদনাময় প্রাণে
একা বাহির দ্বারে দাঁড়িয়ে।
(দস্তয়েভস্কির, 'দ্য ইডিয়ট' নামক কালজয়ী উপন্যাসের একটি অংশের ভাবানুসারে লেখা, নিজের খেয়ালে)