একটা প্রেমের কবিতা এসে পেনের ডগা চুলকাচ্ছিল
চুলকে দিয়ে গেল খবরের কাগজের প্রথম পাতা
ফুটপাথের নয় থেকে চোদ্দ বছরের ছেলেমেয়ের
শরীর চুষে খায় নাকি নির্বিশেষে গাড়ি করে আসা দাদারা
যারা নাকি স্কুল কলেজে পড়ে
সমকামী, বিষমকামী, উভকামী সবাই ভিড় করে আসে
বেছে বেছে নিয়ে যায়
মুখে গন্ধ, গায়ে গন্ধ বাচ্চাগুলোকে
ওসব গন্ধ তো দিনের বেলায় থাকে!
খাক না খাক, যোনির গন্ধ তো একই রকম থাকে,
বিশেষ করে রাতে!
ম ম করে ফুটপাথগুলো বাচ্চাগুলোর যোনির গন্ধে
দাদাদের কি আর পড়ায় মন বসে?
বাচ্চাগুলোও শিখে গেছে আগুন নিয়ে খেলা
"শরীরে কে দিল রে এইডস রোগটা ভরে?
কে কে কে রে?
শালা বাণচোদ্গুলোর বিষাক্ত সব বাঁড়া!"
এরাও পরে না কণ্ডোম আর
ওদেরও দেয় না পরতে
রোগ বিনিময় নিঃশব্দে চলুক
কামকীটগুলো কামড়ে ছিঁড়ুক
যতক্ষণ না হৃৎপিণ্ড যায় থমকে
প্রতিশোধস্পৃহা উঠছে দেখো ছলকে
আধুনিক তিলোত্তমা কলকাতা, হায় রে!
রবীন্দ্রসদন, নন্দন, জোঁড়াসাকো
দক্ষিণেশ্বর...
আরো আছে, আরো আছে...
আরো আছে? এখনো বেঁচে আছে?
মর্গেও নাকি গান-কবিতা সুস্থ সংস্কৃতি?
সব দেখে শুনে একটা কথাই বলি?
বালের ভণ্ডামী!
ডুবতে ডুবতে গলা ডুবে গেছে পাঁকে
মূর্খের স্বর্গে আগুন লাগুক
ভুমিকম্পে কাঁপুক, সব মুখ থুবড়ে যাক পড়ে
তবে যদি সেই ধ্বংসাবশেষের স্তূপে
বিষ বীজগুলোর কালোধোঁয়া শেষে
কেউ আরক্ত জেগে ওঠে -
চীৎকার করে বলে,
সোজা মেরুদণ্ডের উপরে বসানো মাথা -
আছিস কেউ বেঁচে