কিছু হলেই আমরা বলি না, "কোথায় লেখা আছে?"
মানে লেখা থাকার উপর আমাদের একটা ডিফল্ট মোডে আস্থা আছে। বই তার ধারক।
ছাপা অক্ষরে জ্ঞান অজ্ঞান দুই-ই বিলিয়ে দেওয়া যায়। অক্ষরের মাহাত্ম্যই এমনই যে, সে হোয়াটসঅ্যাপে এলেও সত্য বলে ধরে নেওয়া যায়।
তো বইমেলা শুরু হয়ে গেল। আমাদের এখন বইপক্ষ। দারুণ আনন্দ লাগছে ছবিগুলো দেখে। তার একটা বড় কারণ বইমেলা গেলে স্কুলবেলা, কলেজবেলার মনটা এমন চাগিয়ে ওঠে। বয়েস হুড়মুড় করে নামতে শুরু করে। মনে হয় এই তো ক'বছর আগেই এসেছিলাম। কারা যেন সাথে ছিল। তারা যেন আজও হাঁটছে। অলক্ষ্যে।
চাদ্দিকে বই বই। পকেট দু পা হাঁটলেই বলছে নেই নেই। হৃদয় আর মস্তিষ্কের দারুণ বোঝাপড়া চলছে। শেষে এই রফা হল, বাড়ি ফেরার টাকা থাকলেই হবে। ব্যস।
যারা বইমেলার ছবি দিচ্ছেন দারুণ লাগছে। সব্বাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন যাদের নতুন বই বেরোচ্ছে। যাদের পুরোনো বই নতুন করে ছাপা হচ্ছে, তাদেরকেও আমার আন্তরিক অভিনন্দন, ভালোবাসা শুভেচ্ছা।
আপনারা বইমেলা যান। সঙ্গে পারলে আরো কাউকে নিয়ে যান। হলফ করে বলতে পারি পুণ্যি হবে। স্বগ্গে গেলেই বিরিয়ানি ফ্রি পাবেন। কিম্বা যার যাতে রুচি। বইমেলার নেশা লাগান। "যে তোমারে ডাকে না হে, তারে তুমি ডাকো ডাকো...."। খুঁজে দেখুন আশেপাশে কে যায়নি। তাকে নিয়ে যান। তার চোখে আবার নতুন করে বিস্মিত হোন। এ এক মহাযজ্ঞ। যে যা পড়ে তাকে তাই পড়তে উৎসাহ দিন। সে রবীন্দ্রনাথ হোক, কি ভূতপ্রেত থ্রিলার। কবিতা হোক, কি প্রবন্ধ। ভ্রমণের বই হোক, কি দুষ্টু ভালোবাসা, কি রান্না। যার যা প্রাণে চায় পড়ুক। কিসে কি যায়, সব চলতা হ্যায়!
মেসেঞ্জারে যারা জানতে চাইছেন আমার বই বেরোচ্ছে কিনা। না। আমার লেখা সব ফেসবুক প্রেস থেকে ছাপা হয়। চাইলেই পড়া যায়। চাইলেই না পড়াও যায়।
সব্বাই বই উৎসবে মাতুন। বিদ্যাসাগরকে নমো করে বাড়ি থেকে বেরোন। বই কিনুন। ছবি দিন। না কিনলেও কি কি বই দেখে ভালো সে সব লিখুন, ছবি দিন। দেখি, সুখ পাই।
সব্বাই ভালো থাকুন। আমিও তক্কে তক্কে আছি। সময় পেলেই আসছি। সুযোগ না পেলে, সেও ভি আচ্ছা, আপনারা তো যাচ্ছেন!