এই সে সারাদিন তেতেপুড়ে
ঘরে ফিরে এসে
এই যে ঘাড়ে, চোখেমুখে দেওয়ার জল
এই শান্তির জল আমার
যে অশান্তি, যে দুশ্চিন্তা
আমার ঘাড়ে, মাথায়, বুকে
চাপ ধরে থাকে
ক্ষুদ্র, তুচ্ছ, ব্যক্তিগত কারণে
সে অশান্তি, সে দুশ্চিন্তাকে
আমি রাতের শান্ত পৃথিবীর দিকে ছুঁড়ে দিই
মাথার নীচের নরম বালিশ
পাখা ঘোরার শব্দের আবর্তন
জপ-মন্ত্র উচ্চারণের মত
শান্তিময়, আনন্দময় ঈশ্বরের স্পর্শ নিয়ে আসে
আমার ঘরের চারদেওয়ালের মধ্যে
জন্ম হয় আগামীকালের আশ্বাস
আমি একা নই
তবু আমার একা একা লাগে
আমি কেউ নই
তবু আমার সমস্ত আবেগ
এই গোটা ভূখণ্ডের মধ্যে
আত্মীয়তা চেয়ে ফেরে
একদিন বিনা ঘোষণায়
বিনা আগাম ভূমিকায় থেমে যাব
একমুঠো ছাই
লক্ষকোটি মানুষের ছাইয়ের ইতিহাসে মিশে হারিয়ে যাবে, একাকার হয়ে।
বিস্ময়ে অভিভূত আমি
নিজের সর্বস্বকে
পরম তুচ্ছ জেনে
এটুকু স্বীকার করে নিই
সব তুচ্ছতাকে গ্রহণ করে যে মহৎ জীবন
তাকে আমি দেখেছি রোজ
রাস্তায়, স্টেশানে, হাস্পাতালে,
বাজারে, অনুষ্ঠানে, নির্জনে
জন্মান্তরের পরিচিতের মত হেসে সে বলে,
আমায় ভুলো না যেন…
আমি একা নই
তবু আমার একা একা লাগে
আমায় গল্প শোনাতে বসে
সুয়োরানী দুয়োরাণী।
সব গল্পের শেষে
জেগে থাকে ঘুমন্ত এক আমি
অঙ্কুরিত না হওয়া
লক্ষ গল্পের সুপ্তবীজ নিয়ে
তাকে শোনাবে বলে
যে সব গল্পেরই পরম শ্রোতা
মহৎপ্রাণের অঙ্কশায়িত
মহৎ বেদনা নিয়ে