Skip to main content

ঘোড়ার ডিম

কারণ সমাজটা প্রিভিলেজডদের। প্রাইমারী স্কুল থেকে শুরু করে চাকরি পরীক্ষায় ট্রেনিং দেওয়ার প্রতিষ্ঠান অবধি,
স্বাস্থ্য থেকে ধর্মীয় গুরুদের প্রতিষ্ঠান অবধি সব অতি অর্থবানদের দখলে। তুমি লড়বে তো কত লড়বে?

ঘোড়ার ডিম

সমাজে একটা অদৃশ্য মাপকাঠি থাকে। বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ধর্মীয় অনুশীলন, সমাজের কিছু স্থির বিশ্বাস - এরা তৈরি করে এই মাপকাঠি। সেই মাপকাঠি অনুযায়ী নিজেকে গড়ে নিতে পারার জন্য তৈরি হয় একটা অনির্দিষ্ট অপরাধবোধ। যে অপরাধবোধ অবচেতনে সারাটা জীবন থেকে যেতে পারে, গোটা জীবনকে অলক্ষ্যে প্রভাবিত করতে পারে। হীনমন্যতার শিকার হয় গোটা জীবন।

এসি

মেয়েটার ঘমার্ক্ত শরীর  ভিজে জামা বিশ্রীরকম    অসভ্যের মত  কিভাবে বসবে বুঝে উঠতে পারছে না এই রোদে এতটা সাইকেল চালিয়ে আসা তো!

এই মুহূর্ত

গুরু বললেন, তুমি যখন বাড়ি থাকবে তোমাকে তখন গিয়ে দীক্ষা দিয়ে আসব। শিষ্য আশ্চর্য হয়ে গেল। বলল, তবে তো ভীষণ ভালো হবে গুরুদেব। আমার বাড়িতে আপনার পায়ের ধুলো পড়বে। গুরু হাসলেন। বললেন, কাল সকালে আসব।

বাঁচতে গেলে একটা সুতো লাগে

যার কোনো কূলে কেউ নেই, সেও চায় তার যাওয়ার পথ কেউ অন্তত আটকাক। কেউ দাঁড়িয়ে বলুক, তুমি চলে গেলে আমার অসুবিধা হবে। তোমার থাকাটার একটা মানে আছে আমার কাছে। যার কেউ নেই। তারও অভিমান হয়। কার উপর সে স্পষ্ট জানে না। কিন্তু হয়। কেউ চোখ মোছানোর নেই জেনেও সে চোখের জল ফেলে। সে রাগে। ভালোবাসে। কাকে সে নিজেও জানে না।

কোমল প্রাণে

ডাবগুলো সব বিক্রি হল। গ্রামে ফিরছে ফাগু। সোজা রাস্তা। খুব গরম। রাস্তার ধারে একটা শিবের মন্দির। ফাগু দাঁড়ালো। পকেট থেকে একটা পাঁচটাকার কয়েন বার করে মন্দিরের বারান্দায় রাখল। ফাগু শেখের বিক্রিবাট্টা ভালো হলে কিছু টাকা দেয়। ধর্ম দেখে না। জানে সবই এক। আব্বু একতারা বানাতে পারত খুব ভালো। খোলও বানাতো দারুণ। দূর দূর থেকে মানুষ আসত। তখন ফাগু কত ছোটো। ফাগু মানুষে বিশ্বাস করে। মসজিদ, মন্দির যাই পড়ে, ফাগু সামর্থ্যে কুলালে কোনো একটা জায়গায় একটা কয়েন রেখে দেয়। মানুষের জন্য। আল্লাহ যাকে দেখাবেন সে দেখবে।

তুমিও কি ছিলে?

ভেসে এসেছিলে তখন অবেলা, ভেজানো দরজা অস্পৃশ্য তালা ঠোঁটে লেগেছিল সুখ আমার মত তুমিও কি ছিলে উন্মুখ?

মদনভস্ম

অ্যাদ্দিন মদনভস্মের গপ্পো পড়েছিলাম। শিবের ধ্যান ভাঙাতে মদন এয়েচিলো। যেই না একটা তীর মেরেচে কি মারেনি, অমনি গেল মহাদেবের ধ্যান ভেঙে। ব্যস, এমন ক্ষ্যাপা ক্ষেপলেন, দিলেন ভস্ম করে মদনদাকে। তারপর তো রতি, মানে মদনের বউ, অনেক আপিল টাপিল করে সিদ্ধান্ত হল, মদন থাকবে অনঙ্গদেব হয়ে। মানে মদনদা থাকবে, কিন্তু শরীর থাকবেনিকো। মানে নো অঙ্গ, অর্থাৎ অনঙ্গ।
...

মোড় ফিরিয়ে দে

গোঁসাই ভাবল স্টেশানে গিয়ে বসে। কিন্তু এই ফাঁকা রাস্তা। পাশে দীঘির জল। ঠাণ্ডা বাতাস, জুড়িয়ে যাচ্ছে শরীর। গোঁসাইয়ের সন্ধ্যে থেকে ভিক্ষা জোটেনি। যা হোক, না জুটুক। গোবিন্দের ইচ্ছা। সামান্য একটু মুড়ি ছিল। তাই খেয়ে একতারাটা বার করল। নাম গাইবে। নিঃসহায়ের সম্বল নাম ছাড়া আর কি? নাম মানেই প্রেম। প্রেম মানেই নাম। প্রেম মানেই সত্য। সত্য মানেই প্রেম। একতারায় সুর উঠল। নাম, প্রেম, সত্য - এক হল।

তারিখ তর্জা

ভদ্রেশ্বর স্টেশানে বসে আছি। ভরা গ্রীষ্মের দুপুর। কুলকুল করে ঘামছি। চোখটা বন্ধ করে বাড়ির কুয়োতলার কথা ভাবছি, তার শীতল জলের কথা ভাবছি, হঠাৎ শুনি সুমিষ্ট গলায় একজন বলছেন, এ বছরের এপ্রিল মাসের তিন তারিখ যদি রবিবার হয়, তবে আশ্চে বছর এপ্রিল মাসের বারো তারিখ কি বার হবে?

Subscribe to