মেয়েটার ঘমার্ক্ত শরীর
ভিজে জামা বিশ্রীরকম
অসভ্যের মত
কিভাবে বসবে বুঝে উঠতে পারছে না
এই রোদে এতটা সাইকেল চালিয়ে আসা তো!
ক্লাস টেনে পড়ে
ক্লাসে শুরু হল এসির গল্প
কে কত ডিগ্রী নামিয়ে শুতে যায়
কার কাঁথা লাগে
কার লাগে কম্বল
কার এসিতে শুলে সকালে হাঁচি হয়
কার গা ম্যাজম্যাজ করে
মেয়েটা হাসি মুখে শুনছে
আরো কয়েকজন শুনছে হাসিমুখে
যাদের গরমকালে শীত আনার ব্যবস্থা নেই ঘরে
পড়া হল
এবার বাড়ি ফিরবে
সন্ধ্যে হল
বাবা এসেছে নিতে
বাবা ওষুধের দোকানে কাজ করে
বাড়ি ফিরতে সাইকেল চালাতে হবে
আধঘন্টা এখন
রাস্তায় পড়ল দুধার ফাঁকা মাঠ
মেয়েটা সাইকেল থেকে নেমে দাঁড়ালো
বাবা জিজ্ঞাসা করল,
কি হল রে মনা,
জল খাবি?
মেয়েটা দুহাত
ডানার মত দু পাশে মেলে বলল,
না গো
এসে দাঁড়াও
কি হাওয়া! আহা!
ঠিক যেন এসির মত
না বাবা?
বাবার কানে বিঁধল
বাবা মেয়ের কাছে এসে দাঁড়ালো
বলল, তোর বন্ধুদের বাড়ি আছে
না রে?
য়েটা বলল, হ্যাঁ তো
বাবা বলল,
আমি...
য়েটা বলল, আরে ধুর
আমাদের এসি কিনে কি হবে
জানো না আমার ঠাণ্ডায় অ্যালার্জি?
এসিতে আমার হাঁচি হয়
খালি খালি পড়া নষ্ট...
বাবা বলল,
কি করে জানলি?
মেয়েটা বলল, কেন?
পুজোর বাজার করতে গিয়ে
শপিং মলে?
বাবা বলল,
বেশ,
কিন্তু তুই যখন বড় হবি
অনেক বড়
তোর বাড়িতে লাগাবি না এসি?
মেয়েটা বলল,
পাগল!
তোমাদের ঘরে লাগাবো
আমি ঘর করব এই মাঠের উপর
ছাদের উপর হাত ছড়িয়ে দাঁড়াবো...
এই এমন... এই দেখো...
এই তো আমার এসি...