শরীরে ক্ষত হলে জীবাণুর আক্রমণ হয় বেশি। অনাক্রম্যতা কমে গেলে সামান্যতেই প্রবল রোগের আকার দেখা যায়। বাংলার মন অবসাদের আঁতুড় ঘর হয়ে পড়ছে কেন? তাই এত উত্তেজনার চাহিদা? একটা ভেন্ট খুঁজছি কি? জানি না। খবরটা যেন জানা, তবু স্বীকার করতে লজ্জা কোথাও একটা... চারদিকে আস্থার বড় অভাব।
ক'দিন আগে রাষ্ট্রসংঘ থেকে যে সমীক্ষা বেরোলো, তাতে দেখা গেল happiness index -এ ভারতের স্থান গত বছরের ১১৮ থেকে নেমে ১২২ হয়েছে, অথচ আমাদের gdp বেড়েছে। কিসে কমেছে তবে? আস্থা আর সামাজিক সহযোগিতায়। দল বেঁধে জোট পাকানো আর সামাজিকভাবে কাছাকাছি থাকা তো এক না!
আর রইল আস্থার কথা। বিশেষ করে আমাদের বাংলার কথাই যদি ভাবি, কিসে আমাদের আস্থা আছে নিজেদের উপর? একটা বাংলার ছেলে জন্ম থেকে শুনে আসছে এখন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জীবিকা ইত্যাদি সবেতেই আমাদের হয় দক্ষিণ নয় পশ্চিমে যেতে হবে। তবে আর কিসের আস্থা, কিসের শ্রদ্ধা রইল নিজের উপর। স্কুলে না, প্রতিটা বিষয় পিছু অন্তত দুটো করে টিউশান লাগবেই লাগবে একটু উঁচু ক্লাস হলেই। বিজ্ঞান নিলে জয়েন্ট, যার সিংহভাগ ইঞ্জিনিয়ারিং -এ। মাঝামাঝি হলে কমার্স। আর পুরো বকে গেলে আর্টস। তারপর নাই নাই কিচ্ছু নাই..... অবসাদ অবসাদ অবসাদ.... কর্মসূত্রে আমারও এই গতিতেই কাজ, প্রতিদিন লজ্জিত হই, কি করছি?
[http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=30826&boxid=155323740]