সৌরভ ভট্টাচার্য
16 November 2014
(কঠোর ভাবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)
অতনু স্টেশানে নামল যখন তখন রাত ১.২০। যদিও মে মাস, তবু এত রাতে এই মফঃস্বলে রিকশা পাওয়ার প্রশ্নই নেই। সে প্রতি শনিবার করে বাড়ি ফেরে। কলকাতার মেসে থেকে MA পড়ছে। এত রাত হয় না সাধারণত। আজ একটা বন্ধুর দিদির বিয়েবাড়ি সেরে আসতে হয়েছে বলেই শিয়ালদহ থেকে লাস্ট ট্রেনটা ধরতে হয়েছে।
যা হোক ট্রেনটা চলে যাওয়ার পর সে একটা সিগারেট ধরালো। তার সাথে আরো দু'জন লোক নেমেছে। তারা স্টেশানের অন্ধকারে মুহুর্তে মিলিয়ে গেল। তার বাড়ি স্টেশানের পুব দিকে, কামড়াছাড়া গ্রাম। তা হেঁটে চল্লিশ মিনিট তো লাগবেই। সে হাঁটতে শুরু করল।
আচমকাই তার সামনে আবির্ভুত হল একটা লোক। "বাবু রিকশা লাগবে?", অতনুর মুখ থেকে সিগারেটটা পড়েই যেত আরেকটু হলে, এমন চমকে গেছে সে। ব্যাপারটা বুঝতে পেরেই তার মনে হল সে যেন স্বপ্ন দেখছে। সে হ্যাঁ না কিছু না বলেই রিকশায় উঠে পড়ল। তার গলা ছেড়ে গান গাইতে ইচ্ছা করছে! বলল, কামড়াছাড়া চলুন।
বেশ কিছুটা আসার পর তার কেমন গা ছমছম করতে শুরু করল। রিকশাওয়ালার আচরণটা কিরকম অস্বাভাবিক লাগতে শুরু করেছে তার। খুব ধীর গতিতে চালাচ্ছে আর মুখ থেকে কিরকম অদ্ভুত আওয়াজ বার করছে। অতনুর পড়া, শোনা বিভিন্ন ভুতের গল্প মনে পড়তে শুরু করেছে। একটু একটু ঘাম হতে শুরু করেছে। অথচ এমন কিছু গরম নেই আজ। বিকালেই কালবৈশাখী হয়ে গেছে একচোট, মা ফোনে বলেছেন। চারিদিক দেখেও বোঝা যাচ্ছে, বেশ কিছু গাছ ওপড়ানো।
অতনু নার্ভাসনেস কাটাতে আরেকটা সিগারেট ধরালো। রিকশাওলার সাথে কথা বলতে শুরু করল। কিন্তু সে হাঁ বা না এর বেশি উত্তরই করছে না। ঘুটঘুটে অন্ধকার, ঝিঁঝিঁর ডাক, মাঝে মাঝে বিদ্যুতের ঝলক, সব মিলিয়ে অতনুর খুব অস্বস্তি লাগতে শুরু করেছে। হঠাৎ তার মনে পড়ল আর একটু পরেই শ্মশানের বাঁকটা আসবে। তার গলা শুকাতে শুরু করেছে এবার। একবার ভাবল নেমে যায়। তারপর ভাবল না, তাতে ভয়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে। সে শক্তভাবে বসে রইল।
হঠাৎ রাস্তার মোড়ে মনে হল কে একটা দাঁড়িয়ে। এক ঝলক বিদ্যুৎ চমকালো। "আরে গাবলু না?" অতনু চমকে উঠল! পাঁচুর গলা না! এটা তার ডাক নাম। সে হড়মড়িয়ে রিকশা থামাতে বলল। তার ধড়ে প্রাণ এল, যাক কাউকে পাওয়া গেছে। শ্মশানটা আর তাকে একা পেরোতে হবে না।
গল্প করতে করতে কখন পুরো রাস্তা পার হয়েছে বুঝতেও পারল না। পাঁচুকে ওর বাড়ির সামনে নামিয়ে বাড়ি ফিরল। ভয়ের কথা ভুলেই গেছে। জুতোর ফিতে খুলতে খুলতে মা-কে বলল, "জানো এত রাতে পাঁচুর সাথে দেখা হল।"
ওর মা, "অ্যাঁ!" বলে আঁতকে বসে পড়লেন। বললেন, "পাঁচু তো দু'দিন আগেই রেলে কাটা পড়েছে রে!"
যা হোক ট্রেনটা চলে যাওয়ার পর সে একটা সিগারেট ধরালো। তার সাথে আরো দু'জন লোক নেমেছে। তারা স্টেশানের অন্ধকারে মুহুর্তে মিলিয়ে গেল। তার বাড়ি স্টেশানের পুব দিকে, কামড়াছাড়া গ্রাম। তা হেঁটে চল্লিশ মিনিট তো লাগবেই। সে হাঁটতে শুরু করল।
আচমকাই তার সামনে আবির্ভুত হল একটা লোক। "বাবু রিকশা লাগবে?", অতনুর মুখ থেকে সিগারেটটা পড়েই যেত আরেকটু হলে, এমন চমকে গেছে সে। ব্যাপারটা বুঝতে পেরেই তার মনে হল সে যেন স্বপ্ন দেখছে। সে হ্যাঁ না কিছু না বলেই রিকশায় উঠে পড়ল। তার গলা ছেড়ে গান গাইতে ইচ্ছা করছে! বলল, কামড়াছাড়া চলুন।
বেশ কিছুটা আসার পর তার কেমন গা ছমছম করতে শুরু করল। রিকশাওয়ালার আচরণটা কিরকম অস্বাভাবিক লাগতে শুরু করেছে তার। খুব ধীর গতিতে চালাচ্ছে আর মুখ থেকে কিরকম অদ্ভুত আওয়াজ বার করছে। অতনুর পড়া, শোনা বিভিন্ন ভুতের গল্প মনে পড়তে শুরু করেছে। একটু একটু ঘাম হতে শুরু করেছে। অথচ এমন কিছু গরম নেই আজ। বিকালেই কালবৈশাখী হয়ে গেছে একচোট, মা ফোনে বলেছেন। চারিদিক দেখেও বোঝা যাচ্ছে, বেশ কিছু গাছ ওপড়ানো।
অতনু নার্ভাসনেস কাটাতে আরেকটা সিগারেট ধরালো। রিকশাওলার সাথে কথা বলতে শুরু করল। কিন্তু সে হাঁ বা না এর বেশি উত্তরই করছে না। ঘুটঘুটে অন্ধকার, ঝিঁঝিঁর ডাক, মাঝে মাঝে বিদ্যুতের ঝলক, সব মিলিয়ে অতনুর খুব অস্বস্তি লাগতে শুরু করেছে। হঠাৎ তার মনে পড়ল আর একটু পরেই শ্মশানের বাঁকটা আসবে। তার গলা শুকাতে শুরু করেছে এবার। একবার ভাবল নেমে যায়। তারপর ভাবল না, তাতে ভয়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে। সে শক্তভাবে বসে রইল।
হঠাৎ রাস্তার মোড়ে মনে হল কে একটা দাঁড়িয়ে। এক ঝলক বিদ্যুৎ চমকালো। "আরে গাবলু না?" অতনু চমকে উঠল! পাঁচুর গলা না! এটা তার ডাক নাম। সে হড়মড়িয়ে রিকশা থামাতে বলল। তার ধড়ে প্রাণ এল, যাক কাউকে পাওয়া গেছে। শ্মশানটা আর তাকে একা পেরোতে হবে না।
গল্প করতে করতে কখন পুরো রাস্তা পার হয়েছে বুঝতেও পারল না। পাঁচুকে ওর বাড়ির সামনে নামিয়ে বাড়ি ফিরল। ভয়ের কথা ভুলেই গেছে। জুতোর ফিতে খুলতে খুলতে মা-কে বলল, "জানো এত রাতে পাঁচুর সাথে দেখা হল।"
ওর মা, "অ্যাঁ!" বলে আঁতকে বসে পড়লেন। বললেন, "পাঁচু তো দু'দিন আগেই রেলে কাটা পড়েছে রে!"
(ছবিঃ সুমন দাস)