Skip to main content

 

আলো জ্বালা বারণ ছিল। তাই সব অন্ধকার ছিল। কেউ অভিযোগ করত না। কারণ সবার সয়ে গিয়েছিল।

একদিন অন্ধকারে অনেক মানুষ গর্তে পড়ল, আগেও যেমন পড়েছে, তবে একা একা, তাই শব্দ হয়নি, তাই কেউ ভ্রুক্ষেপ করেনি, আর কেউ ভ্রুক্ষেপ করলেও এত অন্ধকারে তা টের পাওয়া যায়নি।

এবারে শব্দ হল জোরে। সবাই বলল, কী হল? কী হল? কিন্তু এত অন্ধকার, রাস্তা কোথায়, পায় কী করে দেখতে?

সবাই বলল, আলো আনো, তবে চোখে যেন জ্বালা না লাগে। যেন সব কিছু অতি স্পষ্ট না দেখা যায়, ওতে ভারি অসুবিধে। যতটা কাজে লাগে ততটাই থাক আলো। তার বেশি না। আলো ভালো, কিন্তু অত বেশি আলো ভালো না।

কেমন আলো সেটা? যেন আমাকে আলো করে থাকে। প্রতিবেশীকে না। আবার সে আলো যেন এত বেশি না হয় যে প্রতিবেশী স্পষ্ট দেখে ফেলে আমার সব কিছু।

সে আলোর দাবী মেটাতে অন্ধকারকে আবার ডাকা হল। যে আলোকে শাসন করে আলোকে চলনসই করে তুলল। অন্ধকার তো লোভী। তাই ক্রমে ক্রমে সে আলোকে আবার গ্রাস করে নিতে শুরু করল। সবাই বুঝল, কিন্তু বলল না কিছু। আলোর সঙ্গে অন্ধকারকে তো তারাই চেয়েছিল। এখন অন্ধকারের দাবীকে যদি না মানে, আলো যদি সবটা অধিকার করে বসে, তবে? সে ভয়ে সবাই বলল, বেশ বেশ, আপাতত অন্ধকারই থাক। পরে কিছু হলে আবার দেখা যাবে।

এইভাবেই যুগে যুগে অন্ধকার কায়েম হয়। সবাই মুখে বলে আলো। সেই নাকি আদর্শ। মনে চায় অন্ধকার বা অন্ধকারের শাসনে ঘেরা আলো, ওই নাকি বাস্তব। ওই নাকি সংসার। ওতেই নাকি সুবিধা।

গোটা আলোতে তো চিরকালই সবার অসুবিধে। তাই ভাষাকে ভাব বুঝে কথা বলতে হয়, সত্য বুঝে না। আর তাই ভাষায় এত অন্ধকার।