Skip to main content

বিদ্যাসাগর আজ দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে, বাংলার মাঠ, ঘাট, স্কুল, কলেজ ঘুরতে ঘুরতে বলছেন... আদালতে চলো... আদালতে চলো... আমায় আসল মাস্টার আর নকল মাস্টারের পার্থক্যটা বুঝিয়ে বলো... বুঝিয়ে বলো...

হাওড়া ব্রীজের মাথা থেকে একটা বাঙালি সন্তান এগিয়ে এসে বলল, আই নো ইউ ম্যান... আই নো ইউ... ইউ রোট বেঙ্গলি এ বি সি ডি.... আই নো ইউ ম্যান... আই নো ইউ....

বিদ্যাসাগর ইতিহাসের ধুলোর নীচে চুপ। কয়েক মুঠো ধুলো এগিয়ে ইশারায় বললেন, নিজেদের শুদ্ধ করো.... সতেজ করো..... সত্য করো...

বিদ্যাসাগরের সাদা চাদর শরতের আকাশে মেঘের আড়ালে মিলিয়ে গেল। বাঙালি এখন আন্তর্জাতিক দুর্গাপুজোয় মত্ত। প্যাণ্ডেলে প্যাণ্ডেলে সাংস্কৃতিক মল্লযুদ্ধ।

বাংলা অক্ষরগুলো সুবোধ গোপালের হাত ধরে জীর্ণ, শতছিন্ন পোশাক গায়ে এক একটা স্কুল থেকে নির্বাসিত হতে হতে আজ প্রায় আশ্রয়হীন.... গাছতলায় দাঁড়িয়ে। দূর থেকে শুনছে ঢাকের আওয়াজ। বাঙালির উচ্ছ্বাস। আর মাঝে মাঝে আকাশে খুঁজছে বিদ্যাসাগরের সাদা চাদরের আদর, প্রশ্রয়। নেই। কোত্থাও নেই।

আবেগই পারে মিথ্যাকে সত্য করে দেখাতে। বোধ পারে না। তাই বোধের নম্র, সতেজ ভাষা চাপা পড়ে আছে আবেগের গদগদস্বরে। বিদ্যাসাগরের শ্রবণ অবধি আর যাচ্ছে না।