Skip to main content

কি হবে


এত ঔদ্ধত্য তোমার!
কি হবে-
যদি শেষরক্ষা না হয়!

চোখের জল না বুকের আগুন
কার কথা শুনবে সেদিন?
নাকি,
দীর্ঘশ্বাসকে দীর্ঘ করবে আরো-
যতদূর যায় ভাঙা অহঙ্কারের ছায়া?

জাগো


অচেনা রাস্তা, চেনা লাগে তোমার
অচেনা তুমি সবার কাছে তাই
ঝুঁকিকে নাও মুঠোর মধ্যে পুরে
সাবধানীরা এড়িয়ে চলে তাই
দাঁড়াও একটু, আরেকটু যাক বেলা
দেখবে সবাই আশেপাশেই আছে
যাবে কোথায়?
চারদিকে যা নরককুণ্ড জ্বালা!
এবার তুমি একবার দাও ডাক
তোমারই দিকে অলক্ষ্যে সব চেয়ে
দেবেই, জেনো দেবেই মরণ ঝাঁপ!
দাঁড়িয়েছে তারা, বহু অপমান সয়ে

কিছু কথা


কিছু কথা শব্দ হতে ভয় পায়
পাছে তার অনুভব আবিলতায় ঢেকে যায়।

কিছু অনুভব কথা হতে ভয় পায়
জানে, শব্দ এত ভারে ভাঙবে দুর্বলতায়।

কিছু দুর্বলতা আড়চোখে ইশারায় বলে-
"ঢাকো ঢাকো আমায় মিথ্যার কৌশলে"

সব সত্যি-
সত্যি কথায় থাকে না আটকে
কিছু মিথ্যার বেশে ফাঁকি দিয়ে যায়
বুদ্ধির বেড়া টপকে।

কিছু শব্দ


কিছু শব্দ চেনা
কিছু শব্দ অচেনা

স্বপ্নগুলো-
এই চেনা-অচেনার ফাঁকে

নিজেকে হারালে


নিজেকে হারালে
আয়নার সামনে দাঁড়িও
নিজের দিকে তাকিও।
উঁহু, তোমার চোখে না
আমার চোখে নিজেকে দেখো
তুমি আমার প্রেমের মূর্ত ভাষ্য
এটা জেনো।

তুমি হারাবে না,
আমার যা কিছু সত্য
তা 'আমাদের' ঘিরে,
তোমারও তাই।
মানুষ সত্যে হারায় না, 
হারায় মিথ্যাকে
সত্যে ফিরে।

নোঙরে কিছুটা সময়


নোঙরে কিছুটা সময় আটকে
বৈঠা সব শোধ করে দেবে
যদি পালে তোমার বাতাস পাই

ঈশ্বর আপনাকে

ঈশ্বর, কেমন আছেন? ভাল থাকার কথা নয় যদিও, জানি। শিশু আর পাগল ছাড়া ভাল থাকা খুব শক্ত প্রভু। 

ফিরে আয়


পথ বানিয়েছি
দেওয়াল তুলেছি
তাতে ছাউনি দিয়েছি খড়ের
পুকুর কেটেছি, তাতে মাছ ছেড়েছি 
গাছ লাগিয়েছি বেড়ার ধারে
পাখি পুষেছি, না বেঁধে খাঁচায়
গরু কিনেছি তিনটে
চাষের জন্য হাল কিনেছি
নতুন বীজ বুনেছি ক্ষেতে

বুদ্ধি


বুদ্ধির সীমাবদ্ধতাকে জানাই হল বুদ্ধিমত্তা। তাই ভালোবাসার প্রথম ধাপ। কারণ তা অহংশূন্য। একমাত্র ভালোবাসাই জানা-অজানাকে পাশাপাশি রেখে চলতে পারে স্বাচ্ছন্দ্যে। অহংকার তা পারে না বলেই, শুধু 'জানা'র দিকে ঝুঁকে চলতে চায়। আর কিছু দূর গিয়ে পড়ে মুখ থুবড়ে।

Subscribe to