ডুব
ট্রেনের মাথাটা দেখা যাচ্ছে। সিগন্যাল লাল। স্টেশানে লোক নেই। দাঁড়াবার কথা নয় ট্রেনটার। পূর্ণিমার চাঁদ। রেললাইনের উপর আমগাছের ছায়া। বোলের গন্ধ নেশার মত।
মনের গুহায়
যেখানে যত আঘাত পেয়েছ
জমিয়ে রেখেছ
গভীর সুখে
গোপন সুখে
মনের গুহায়
সবই রঙের কারচুপি
তুমি তো কপট নও
তুমি তো বহুরূপী
অভিনেতা কি প্রতিশ্রুতি দেয়?
কি যে বলো!
সবই রঙের কারচুপি
ভালো শিক্ষা
সেই ছোটোবেলায় এরকম হত, আপনাদের সঙ্গেও নিশ্চয়ই হয়েছে, ধরুন একজন বল হারিয়ে ফেলেছে, তখন তার উপর দায়িত্ব পড়ত সে যেন মাঠে নতুন বল নিয়ে আসে। কিম্বা ধরুন কেউ কারোর পেন হারিয়ে ফেলেছে, বা পেন্সিল বক্স ইচ্ছা করে ভেঙে দিয়েছে, তখন তাকে কিনে এনে দিতে হত। তারপর আমাদের উঁচু ক্লাসের প্র্যাক্টিকাল রুমের কথাই ভাবুন না, কি হত স
এ বুদ্ধিকে কি বলো তুমি?
এই যে মাঝে মাঝে
যাব যাব বাই ওঠে তোমার
ভাবটা এমন
যেন ধুম করে চলে গেলেই হয়
চৌকাঠ পেরোলেই আদিগন্ত সমুদ্র
নাকি খোলা তেপান্তরের মাঠ
নাকি হিমালয়ের কোল
কারা এত ডাকে তোমায়?
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে
সত্যি করে বলো তো?
হাতের নাগালে যা আছে
অন্তরে আর বাহিরে তাই..
রাধাকান্তবাবুর বহুদিনের অভ্যাস, ঘুম থেকে উঠে কখনও হাতে তালি দিয়ে, কখনও খোল বাজিয়ে, খঞ্জনি বাজিয়ে রামনাম করেন। কখনও "প্রেম মুদিত মন সে কহো রাম রাম রাম, শ্রীরাম রাম রাম"....কখনও "শ্রীরামচন্দ্র কৃপালু ভজ মন".. এইসব ভজন গান। বাড়ির লোক, পাড়াপ্রতিবেশী সকলে তার সরল প্রাণের ভক্তিতে আবিষ্ট হয়ে, সাধু সাধু বলেন।
ক্ষণিকের দেখা হওয়া
সবাই সেক্যুলার
ভারতবর্ষে কে না সেক্যুলার, ধনি?
আমরা সবাই সেক্যুলার
নিজের মত করে সবাই সেক্যুলার
আমাদের মন্দির মসজিদ গীর্জা সব সেক্যুলার
স্কুলের সরস্বতীপুজো থেকে
থানায় কালীপুজো
কারখানায় বিশ্বকর্মা
সব সেক্যুলার
জানি পলাশ এসেছে
জানি পলাশ এসেছে
জানি বসন্তের বাতাস বইছে অহরহ
কিন্তু বলো তো প্রেমিক
এ বসন্তে কিসের দাহ বেশি?
হৃদয়ের, না পকেটের?
কে বেশি যাতনাময়
বসন্তের কোকিল?
নাকি সিলিণ্ডার আর পেট্রোল?
"রোদনভরা এ বসন্ত, সখী কখনও আসেনি বুঝি আগে"....